রাজারহাটে শৈত প্রবাহে মানুষ জুবুথুবু

এফএনএস (প্রহলাদ মণ্ডল সৈকত; রাজারহাট, কুড়িগ্রাম) :
| আপডেট: ৫ জানুয়ারী, ২০২৫, ১২:৩৫ পিএম | প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০২:২৭ এএম
রাজারহাটে শৈত প্রবাহে মানুষ জুবুথুবু

কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার মানুষ শৈতপ্রবাহে জুবুথুবু হয়ে পড়েছে। ঘন কুয়াশা আর কনকনে শীতে মানুষ কাহিল হয়েছে। গত দুই দিন ধরে ঘন কুয়াশার চাদরে সূর্য ঢেকে যাওয়ায় দিনের বেশীর ভাগ সময় সূর্যের মুখ দেখা যায় না। শীতের দাপটে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা মান ব্যাহত হয়ে পড়েছে। বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় রাজারহাট উপজেলা এ অঞ্চলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা মঙ্গলবার ছিল ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার জানায়, আকাশে ঘন মেঘ থাকায় আগামী ২৪ ঘন্টা সূর্যে দেখা না মেলার কমু সম্ভাবনা রয়েছে। শীতের তীব্রতায় বিপাকে পড়েছে কৃষি শ্রমিক ও স্বল্প আয়ের খেটে খাওয়া মানুষজন। তীব্র ঠান্ডায় অনেকেই খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টাও করছে। সারাদিনেই তাপমাত্রা কম থাকে। সন্ধ্যার ৭টার পর থেকে পরদিন দুপুর ১২টা পর্যন্ত শীতের তীব্রতা বেশী অনুভুত হয়। ঠান্ডায় মানুষ কাবু হয়ে যাওয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়েছে। রাজারহাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আউট ডোরে প্রতিদিন সর্দ্দি-জ্বর নিয়ে এসে মানুষ চিকিৎসা নিচ্ছে। তবে ঠান্ডায় মারা যাওয়ার তথ্য হাসপাতালে নেই বলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ মিজানুর রহমান জানিয়েছেন। উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের অটোচালক সাজু মিয়া বলেন, কয়েকদিন থেকে খুব ঠান্ডা। আজ আরও বেশি ঠান্ডা। হাত পা বরফ হয়ে যায়। ঠান্ডার কারণে অটোর হেন্ডেল ধরা যায় না। চাকিরপশার ইউনিয়নের চাকিরপশার তালুক গ্রামের ভুট্টু মিয়া বলেন, বিছন(বীজ ধান) ধান ফেলার জায়গা তৈরির কাজ করছি। পানিতে হাতে দেয়া যায় না, এতো ঠান্ডা। কি ঠান্ড কি গরম। হামার কাজ ছাড়া উপায় নাই। রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, গত দুই সপ্তাহ থেকে জেলার  সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২-১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস উঠা-নামা করছে। এ মাসের ১৫ তারিখের পর শৈত্যপ্রবাহ এ জেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। 

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে