ভবদহের জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধানে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে: উপদেষ্টা রিজওয়ানা

এফএনএস (মল্লিক খলিলুর রহমান; অভয়নগর, যশোর) : | প্রকাশ: ২২ এপ্রিল, ২০২৫, ০৪:১৫ পিএম
ভবদহের জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধানে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে: উপদেষ্টা রিজওয়ানা

বাংলাদেশ সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ভবদহ অঞ্চলের জলাবদ্ধতা একটি জাতীয় দূর্যোগে পরিণত হয়েছে। স্থায়ী সমাধানে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। বর্তমান সরকার এই সমস্যার স্থায়ী সমাধাণের জন্য কাজ শুরু করছে। ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় চলতি মৌসুমে ১৭ হেক্টর জমিতে ধান চাষ করা সম্ভব হচ্ছে। আমডাঙ্গা খালের বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।  

 মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে যশোরের অভয়নগর উপজেলার দু:খখ্যাত ভবদহ স্লুইসগেট পরিদর্শন শেষে ভবদহ কলেজ মাঠ প্রঙ্গনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি।

রিজওয়ানা হাসান আরো বলেন, ‘জনগণ, সরকার ও বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে ভবদহ অঞ্চলে কাজ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় ভবদহ অঞ্চলের জলাবদ্ধ ২০ হেক্টর জমির ভেতর ১৭ হেক্টর জমির পানি নিষ্কাশন করা হয়েছে। তাছাড়া পানি নিষ্কাশনের কাজ এখনও অব্যাহত রয়েছে। এ অঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগ কমাতে বর্তমান সরকার আন্তরিক। টিআরএম এর পক্ষে বিপক্ষে মতামত রয়েছে। বৃহত্তম জনগোষ্টি এ বিষয় যে সমাধান দিবে আমরা সেই পথেইে হাটবো। যে কারণে আমডাঙ্গা খাল খননের মধ্যদিয়ে জলাবদ্ধ এলাকার পানি নিষ্কাশনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে। আরো বলেন, ‘অতীতে যারা দায়িত্বে ছিলেন তাদের সদিচ্ছার ঘাটতি ছিল। সমস্যার সমাধান না করে জটিলতা সৃষ্টি করেছেন তারা। তবে বর্তমান সরকার আমডাঙ্গা খাল, টেকা, হরিভদ্রা ও আপার ভদ্রা নদী খননের কাজ দ্রুত শুরু করবে। আর এই খননের কাজ করবে সেনাবাহিনী। ভবদহের বিষয়ে আমরা সবাই সজাগ আছি, যাতে মানুষের দুর্ভোগ কমে। এ অঞ্চলের কৃষকের বাণিজ্যিকহারে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের সমস্যা সমাধানে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা হয়েছে। এছাড়া ক্ষুদ্র ঋণ আদায় বন্ধ করা হয়েছে। কয়েকটি নদীর পাশে ইটভাটা গড়ে উঠার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ইটভাটাতো আর সরকার করেনি। স্থানীয় কিছু সমস্যা রয়ে গেছে এগুল স্থানীয়দের সমাধান করতে হবে। ভবদহ অঞ্চলের পূর্বের সকল বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে একটি কমিটি তদন্ত শুরু করেছে।’ 

এসময় উপস্থিত ছিলেন, স্বরাষ্ট্র ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.), দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম, যশোর ৫৫ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডর (জিওসি) মেজর জেনারেল জে এম ইমদাদুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক মো. আজাহারুল ইসলাম, জেলা পুলিশ সুপার রওনক জাহান, অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়দেব চক্রবর্তীসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা ও এলাকাবাসী। 

এর আগে সকাল ১০ টার দিকে বিজিবি’র হেলিকপ্টারে তিন উপদেষ্টা অভয়নগরের নওয়াপাড়া সরকারি মহাবিদ্যালয়ের হেলিপ্যাডে অবতরণ করেন। পরে অত্র মহাবিদ্যালয়ের সভাকক্ষে তালিকাভুক্ত কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তারা। সকাল ১১ টার দিকে মহাবিদ্যালয় সংলগ্ন একটি বিলে গিয়ে কৃষকের ধান কাটা পরিদর্শন করেন। এসময় উপস্থিত কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে তাদের খোঁজখবরও নেন তিন উপদেষ্টা। এর পর ভবদহ এলাকা পরিদর্শনে যান তারা।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে