৬৪ বছর বয়সী মোঃ রেনু মিয়া। পাঁচ বছর আগে সড়ক দূর্ঘটনায় ভেঙে যায় দুই পা। ওই সময়ের পর তাকে বরণ করতে হয় পঙ্গুত্ব। তখনি ঘরে অসহায় স্ত্রী সন্তানের মুখে আহার জোগাতে নামে ভিক্ষায়। ভিক্ষায় সুখ নেই তবুও জীবন বাঁচাতে চলছিল তার লড়াই।
এবার সরকারি সহযোগিতায় পেলো দোকান, তাতেই যেন সুখে আছে সে। ২৫ এপ্রিল শুক্রবার সকালে সরেজমিনে গেলে এমনটি জানায় রেনু মিয়া।
নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার বিরিশিরি ইউনিয়নের বাসিন্দা সে। বিরিশিরিস্থ কানিয়াইল ভুমিহীন ও গৃহহীন আশ্রয় প্রকল্পে একটি ঘর পেয়েছে সে। সেখানেই দিয়েছে দোকান। তার সংসারে আছে পাঁচ বছর বয়সি সন্তান ও স্ত্রী।
দোকান পেয়ে খুশি মোঃ রেনু মিয়া। সে প্রতিবেদককে জানায়, সরকারিভাবে আমাকে ঘর দিয়েছে এখন একটা দোকানও দিয়েছে। আমি এখন আর ভিক্ষা করি না। ভিক্ষাকরে আমার জমানো আরও ২০ হাজার টাকার মালামাল তুলেছি। প্রতিদিন ৭ থেকে ৮শ টাকা বিক্রি হয় আমার দোকানে তাতেই চলে, সুখে আছি।
অন্যদিকে এমন উদ্যোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে ভিক্ষুকদের পূর্ণবাসনের কথা জানালেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নাভিদ রেজওয়ানুল কবীর। তিনি বলেন, সমাজসেবার মাধ্যমে ভিক্ষুকদের পূর্ণবাসনের জন্য একটি কার্যক্রম চলমান রয়েছে। দুর্গাপুরে যারা ভিক্ষুক আছে তাদের কয়েক দফা যাচাই-বাছাই করে প্রকৃত ভিক্ষুক খুঁজে বের করেছি তাদের জীবিকা যোগানে বিভিন্ন দোকান দেওয়া হয়েছে। যেন ভিক্ষা ছেড়ে তারা ভালোভাবে জীবনযাপন করতে পারে।
মোঃ রেনু মিয়া ভিক্ষা ছেড়ে দোকান করেছেন তাতে প্রশংসিত হচ্ছে আশপাশের মানুষের কাছেও। কেবল তিনিই নন, সমপ্রতি তারই মতো আরও তিনজন ভিক্ষুককে দোকান করে দেওয়া হয়েছে সরকারিভাবে। তারাও ভিক্ষা ছেড়ে দোকান করেই জীবিকা নির্বাহ করেযাচ্ছে।