মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় ১৫হাজার লিটার তেলসহ পরিবহন কাজে নিয়োজিত একটি ট্যাংক লরি ও দুটো ষ্টীলের ট্রলার আটক করে পুলিশে দিল স্থানীয় জনতা। শনিবার(২৬এপ্রিল)রাত ১২:৩০ঘটিকায় উপজেলার বালুয়াকান্দী ইউনিয়ন এর তেতৈতলা মেঘনা ঘাট বাজারে এই ঘটনা ঘটে।চোর চক্রটি মেঘনা নদীর তীরবর্তী দুটি ট্রলার থেকে বিশেষ উপায়ে পাইপলাইনের মাধ্যমে লরিতে তেল ভরার সময় স্থানীয় লোকজন দেখে ফেললে তাঁরা ট্রলার ও লরি রেখে পালিয়ে যায় চক্রটি।
জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবৎ মেঘনা ঘাট বাজার অবৈধ চোরাই তেল বিক্রির নিরাপদ রোড হিসেবে পরিচিত,রাত হলেই সক্রিয় হয় এই চোরা কারবারি চক্রটি।স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় ও প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে চক্রটি নদীতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে, সেই সাথে মেঘনা ঘাটে বৈধ তেল ব্যবসায়ীরা বিষয়টা নিয়ে ছিলেন বিপাকে ও বিরক্ত,নানা সময় তেল চুরির অপবাদ তাদের মাথায় নিতে হতো তাই বাধ্য হয়ে স্থানীয় লোকজন বিষয়টা হাতেনাতে ধরার জন্য ওৎপেতে ছিল।
স্থানীয় এলাকাবাসী মাসুদ রানা বলেন, গোপালগঞ্জ জেলার অধিবাসী বোরহান উদ্দিন(গোপালী বোরহান)নামে পরিচিত,এক ব্যক্তি দীর্ঘ সময় যাবৎ রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ পদবীদারীদের নাম ব্যবহার ও স্থানীয় প্রভাবশালীদের ম্যানেজ করে চোরাই তেলের ব্যবস্যা করে শত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন, দীর্ঘদিন যাবৎ প্রকাশ্যে তিনি এই ব্যবসাটা করলেও রয়ে গেছে ধরাছোঁয়ার বাহিরে।
স্থানীয় জনতার মধ্যে উপস্থিত বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হেলাল উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন,এই চক্রটি দীর্ঘদিন যাবৎ অবৈধ ব্যবসা করে আসলেও একটি মহল মেঘনা ঘাটের বিশিষ্ট ব্যবসায়ীদের নামে অপ প্রচার করে আসছে,তাই স্থানীয় জনতা চোর চক্রটিকে হাতেনাতে ধরার জন্য ওৎ পেতে ছিল,আশা করি এরপর থেকে অপ প্রচার বন্ধ হবে।
অভিযুক্ত বোরহান উদ্দিনকে মুঠোফোনে একাধিক বার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেন নাই।তবে জব্দকৃত ট্যাংক লরির মালিক সুমন হোসেন বলেন,আমি গাড়ী ভাড়া দিয়েছি, তেল চুরির সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই।
এ বিষয়ে গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ(ওসি তদন্ত)মো:সহিদুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে গিয়ে তেল বোঝাই একটা ট্যাংক লরি ও দুটো ষ্টীলের ট্রলার জব্দ করি,যাচাই বাছাই শেষে আইন গত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।