ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে রিয়াদ হোসেন (২০) নামের এক বাংলাদেশি যুবক আহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১ মে) রাতে উপজেলার কুসুমপুর বিওপির পিপুলবাড়িয়া সীমান্ত এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।আহত রিয়াজ পিপুলবাড়িয়া গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে।
রিয়াদের চাচাতো ভাই সুমন মিয়া দাবি করেছেন, রিয়াদ একজন কৃষক। রাতে হালকা বৃষ্টির সময় রিয়াদ মাঠে গেলে ওপার থেকে ভারতীয় কুসুমপুর ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালান। একপর্যায়ে একটি গুলি তার শরীরে বিদ্ধ হয়। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, পরে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসা দিয়ে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে রিয়াদ ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার ইমন হোসেন বলেন, রিয়াদের শরীর থেকে ছররা গুলির কিছু অংশ বের করা হয়েছে। তবে একটি গুলি কিডনির পাশ দিয়ে ঢুকে গেছে। যশোরে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সুবিধা না থাকায় তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।তবে সীমান্তের একটি সূত্র জানিয়েছে, আহত ব্যক্তি মূলত চোরাচালান চক্রের সঙ্গে যুক্ত। আর গুলির ঘটনাটি ঘটেছে দুই দেশের সীমান্তের মধ্যবর্তী নো ম্যানস ল্যান্ডে।মহেশপুর ৫৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রফিকুল আলম বলেন, এমন ঘটনা শুনেছি। তবে এ বিষয়ে অভিযোগ করেননি। যার আহতের খবর পাওয়া গেছে, তার বাড়িতে লোক পাঠিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি।এর আগে গত ৮ এপ্রিল মহেশপুর উপজেলার পলিয়ানপুর সীমান্তে ওয়াসিম নামে এক বাংলাদেশি যুবককে হত্যার করে ইছামিত নদীতে ফেলে দেওয়া অভিযোগ ওঠে বিএসএফ। ২৪ দিন পার হলেও তার মরদেহ এখনো বিএসএফ ফেরত পায়নি পরিবার। নিহত ওয়াসিম বাঘাডাঙ্গা গ্রামের রমজান আলীর ছেলে।
একইভাবে গত ২৭ এপ্রিল একই উপজেলার গোপালপুর গ্রামের ওবাইদুল ইসলাম নামে এক বাংলাদেশিকে ভারতের উত্তর চব্বিশ পরগোনা জেলার বাদগা থানার মধুপুর এলাকায় হত্যার অভিযোগ ওঠে। ঘটনার ৪ দিন পার হলেও বিএসএফ তার মরদেহ। নিহত ওবাইদুল মহেশপুর উপজেলার যাদবপুর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের হানেফ আলীর ছেলে।