বকশীগঞ্জের দশানী নদীর আলোচিত দুটি বাঁধ ভেঙ্গে দেওয়া হলো

এফএনএস (সরকার আবদুর রাজ্জাক; বকশীগঞ্জ, জামালপুর) : | প্রকাশ: ৩ মে, ২০২৫, ০৩:১০ পিএম
বকশীগঞ্জের দশানী নদীর আলোচিত দুটি বাঁধ ভেঙ্গে দেওয়া হলো

জামালপুর  জেলার দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার বাহাদুরাবাদ ইউনিয়ন ও বকশীগঞ্জ উপজেলার মেরুরচর ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত দশানী নদীতে পাল্টাপাল্টি নির্মিত দুটি বাঁধ অবশেষে  ভেঙে ফেলা হয়েছে। শুক্রবার (২ মে) সন্ধ্যায় দেওয়ানগঞ্জের খরপাপাড়া ও বকশীগঞ্জের আইরমারী এলাকায় নির্মিত বাঁধ দুটি অপসারণ করা হয়। এতে করে দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতার অবসান হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন কৃষক ও স্থানীয় বাসিন্দারা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দশানী নদীর দুই পাড়ে পৃথকভাবে নির্মিত দুটি বাঁধের কারণে নদীর স্বাভাবিক পানি প্রবাহ সহ নদীর গতিপথ বাধাগ্রস্ত হয়ে পরে। এ কারণে  সৃষ্টি হয় কৃত্রিম জলাবদ্ধতা ও বন্যা, তলিয়ে যায় শত শত একর জমির কাঁচা-পাকা ফসল। এ অবস্থায় স্থানীয়দের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছায়। বাঁধ অপসারণ নিয়ে দুই উপজেলা বাসীর মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছালে প্রশাসন হস্তক্ষেপ করে। 

এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১ মে) বিকেলে বকশীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ রানার নেতৃত্বে চর আইরমারী এলাকায় বাঁধ ভাঙতে গেলে বাধা দেয় স্থানীয়রা। ফলে শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়। ওই ঘটনায় দুইজনকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, চর আইরমারী গ্রামের রহমত আলী (৪০) ও ইউসুফ আলী (৩২)।

জানা যায়, প্রতি বছর দশানী নদীর ভাঙনের মুখে পড়ে দেওয়ানগঞ্জের খরপাপাড়া এলাকা। দীর্ঘদিন ধরে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কার্যকর ব্যবস্থা না নেয়ায় এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে নিজেরাই নদীতে বাঁধ নির্মাণ করে। এর প্রতিবাদে আইরমারী গ্রামবাসীর পাল্টা বাঁধে নদীর পানিপ্রবাহ সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে বিস্তীর্ণ এলাকার নিম্নাঞ্চলে দেখা দেয় কৃত্রিম বন্যা। 

জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নকিবুজ্জামান খান জানান, স্থানীয়দের সঙ্গে কয়েক দফা আলোচনা শেষে বাঁধ দুটি ভেঙে ফেলা হয়। এতে বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ এখন স্বস্তিতে আছেন।

জামালপুর জেলা প্রশাসক হাছিনা বেগম বলেন, নদীতে পাল্টাপাল্টি বাঁধের বিষয়টি জানার পর দুই পক্ষকে নিয়ে সভা করি। পরে সবাই সম্মত হওয়ায় প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে বাঁধ দুটি অপসারণ করা হয়েছে।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে