সুজানগরে আধুনীক পদ্ধতিতে পেঁয়াজ সংরক্ষণ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে

এফএনএস (সুজানগর, পাবনা) : | প্রকাশ: ৩ মে, ২০২৫, ০৪:০৫ পিএম
সুজানগরে আধুনীক পদ্ধতিতে পেঁয়াজ সংরক্ষণ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে

বাংলাদেশের মধ্যে পেঁয়াজ উৎপাদনে পাবনার সুজানগর উপজেলা প্রথম। শুধু তাই নয়, সুজানগর উপজেলা দেশের পেঁয়াজ ভাণ্ডার হিসেবে খ্যাত। অথচ এ জনপদের কৃষকেরা বছরের পর বছর সনাতন পদ্ধতিতে টিনের ঘর বা সেমিপাকা ঘরে বাঁশের মাচা তৈরী করে সনাতন পদ্ধতিতে পেঁয়াজ সংরক্ষণ করে আসছেন। এ পদ্ধতিতে পেঁয়াজ সংরক্ষণ করায় প্রতি বছর কৃষকেরা হাজার  হাজার টাকা লোকসান গুণতে হয়। 

উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের আদর্শ কৃষক কামরুজ্জামান বলেন সনাতন পদ্ধতিতে বাঁশের মাচা তৈরী করে পেঁয়াজ সংরক্ষণের পদ্ধতি বেশ ব্যয়বহুল। তাছাড়া এ পদ্ধতিতে পেঁয়াজ সংরক্ষণে একদিকে পেঁয়াজে পচন ধরে, অন্যদিকে শুকিয়ে ওজন কমে যায়। ফলে সনাতন পদ্ধতিতে পেঁয়াজ সংরক্ষণ করতে গিয়ে প্রতি বছর কৃষকের হাজার  হাজার টাকা লোকসান হয়। আর সে কারণে গত ২/৩বছর হলো উপজেলার কতিপয় সামর্থ্যবান কৃষক উপজেলা কৃষি বিভাগের পরামর্শক্রমে সনাতন পদ্ধতির পরিবর্তে বিদ্যুৎ চালিত এয়ার ফ্লো মেশিনের মাধ্যমে আধুনীক পদ্ধতিতে পেঁয়াজ সংরক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছেন। উপজেলার তাঁতীবন্দ ইউনিয়নের উদয়পুর গ্রামের আদর্শ কৃষক মাসুদ রানা জানান, আধুনীক পদ্ধতিতে একটি সেমিপাকা ঘরের মেঝেতে মাত্র দশ ফুট দৈর্য্য এবং দশ ফুট প্রস্থের একটি বাঁশের মাচা ও ইটের দেয়াল তৈরী করে তার মধ্যে একটি এয়ার ফ্লো মেশিন স্থাপন করে সেখানে প্রায় ৩০০ মণ পেঁয়াজ সংরক্ষণ করা যায়। এ পদ্ধতিতে পেঁয়াজ সংরক্ষণ করলে পচন ধরেনা। এমনকি ওজনও তেমন কমেনা। তাছাড়া এ পদ্ধতিতে দীর্ঘ প্রায় ৯ মাস নিরাপদে পেঁয়াজ সংরক্ষণ করা যায়। এ পদ্ধতিতে রাত-দিন ২৪ঘন্টার মধ্যে ৬ঘন্টা ওই এয়ার ফ্লো মেশিন চালাতে হয়। এতে পেঁয়াজ প্রয়োজনীয় আলো-বাতাস গ্রহণ করতে পারে। ফলে আধুনীক এ পদ্ধতিতে কৃষক দীর্ঘ মেয়াদে এবং নিরাপদে পেঁয়াজ সংরক্ষণ করতে পারে। আর সেকারণে এ উপজেলার কৃষকেরা দিনের পরদিন আধুনীক পদ্ধতিতে পেঁয়াজ সংরক্ষণে মনোযোগী হয়ে উঠছেন। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রাফিউল ইসলাম বলেন পেঁয়াজের পচনরোধে আধুনীক ওই পদ্ধতি অত্যন্ত কার্যকর এবং সময়োপযোগী। ফলে উপজেলার পেঁয়াজ চাষীরা ক্রমাগত সনাতন পদ্ধতির পরিবর্তে আধুনীক পদ্ধতিতে পেঁয়াজ সংরক্ষণ করছেন।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে