প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার শনিবার দুপুরে লক্ষ্ণীপুর সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সাংবাদিকদের বললেন,
‘প্রাথমিক শিক্ষার ওপর অনেকগুলো ঝড়ঝাপটা গেছে। কোভিডের সময় প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় অনেক বাচ্চা চলে গেছে। এ ছাড়া প্রাথমিকে যে কারিকুলাম চালু হয়েছে, সেটা অভিভাবকরা গ্রহণ করেননি।’
অধ্যাপক বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার আরও যোগ করে বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি, শিক্ষার মানের উন্নয়ন করতে। আশা করি শিক্ষার মানের উন্নয়ন ঘটলে প্রাথমিকে শিক্ষার্থীর সংখ্যা আরও বাড়বে।’
এর আগে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে আন্তঃপ্রাথমিক বিদ্যালয় বিতর্ক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন গণশিক্ষা উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।
তিনি বলেন, ‘বিতর্ক প্রতিযোগিতার মাধ্যমে অনেকগুলো লাভ হয়। শিশুরা টিমওয়ার্ক শেখে। তারা যুক্তিচর্চা শেখে। এগুলো করতে গিয়ে তার নিজের চর্চা বাড়ে। কথা বলার দক্ষতা ও সাহস বাড়ে। সেইসঙ্গে তথ্য জোগাড় করতে গিয়ে তাদের পড়ালেখার আগ্রহ বাড়ে। বিতর্ক প্রতিযোগিতা বাচ্চাদের শিক্ষার উন্নতিতে সহায়তা করে। এটা সারাদেশে ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব।’
লক্ষ্ণীপুর জেলা প্রশাসক রাজীব কুমার সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জেপি দেওয়ান এবং সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জামশেদ আলম রানা উপস্থিত ছিলেন।