মহান রক্তক্ষয়ি মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী আমাদের জাতীয় ঐক্যের প্রতীক, জাতীয় গৌরব। আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের রক্ষক। সশস্ত্র বাহিনী আমাদের অহংকার ও গৌরবের প্রতিষ্ঠান। আর তাই এই সশস্ত্র বাহিনীকে সব বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখা আমাদের নাগরিক দায়িত্ব। যদি আমাদের সশস্ত্র বাহিনীকে বিতর্কিত করা হয়, হেয় প্রতিপন্ন করা হয় তাহলে আমাদের সার্বভৌমত্ব, অখণ্ডতা হুমকির মুখে পড়তে পারে। বিপন্ন হতে পারে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্র। ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের জনগন। সবাইকে মনে রাখতে হবে সবার আগে দেশ।
সাম্প্রতিক সময়ে আমরা লক্ষ করছি বাংলাদেশের গৌরবের প্রতীক, আমাদের অস্তিত্বের স্মারক সশস্ত্র বাহিনীকে নানাভাবে বিতর্কিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন জায়গায় সশস্রবাহিকে নিয়ে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। য়া উদ্বেগজনক। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি নানা রকমভাবে সশস্ত্র বাহিনী সম্পর্কে নানা রকম মন্তব্য করছে, বিভিন্ন গুজব ছড়াচ্ছে বুঝে না বুঝে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সশস্ত্র বাহিনী, বিশেষ করে সেনাবাহিনীকে নিয়ে অনভিপ্রেত চর্চা আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর মর্যাদা ক্ষুণ্নের শামিল। এর মাধ্যমে প্রকারান্তরে সশস্ত্র বাহিনীকে হেয় প্রতিপন্ন করা হচ্ছে। সেনাবাহিনী প্রধানসহ সশস্ত্র বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নানা রকম সত্য-মিথ্যা বিষোদগার করে রীতিমতো তর্কযুদ্ধ অনাকাঙ্ক্ষিত, অগ্রহণযোগ্য ও অনভিপ্রেত।
দেরিতে হলেও আমরা ফ্যাসিবাদী শাসকের শাসন থেকে থেকে মুক্তি পেয়েছি। কিন্তু, ফ্যাসীবাদের শাসনামলে যে ক্ষতি তারা করে গেছে, আমাদের সেনাবাহিনীর তা কাটিয়ে উঠতে বহু সময়ের প্রয়োজন হবে। তবে আশার কথা হলো, আমাদের সেনাবাহিনীর বেশির ভাগ সদস্য দেশপ্রেমিক ও পেশাদার। যার কারণে ফ্যাসিবাদী শাসকের পক্ষে না দাঁড়িয়ে সেনাবাহিনী দেশ-জাতির কল্যাণে জুলাই-আগস্টের আন্দোলনের সময় ছাত্র-জনতার পক্ষে অবস্থান নেয়। কাজেই বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে দ্রুত ক্রান্তিকাল কাটিয়ে সেনাবাহিনী তার আগের মর্যাদা ও গৌরবের জায়গায় পৌঁছতে হবে।
সেনাবাহিনী হয়তো বর্তমান সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধান চেয়েছে। কিন্তু জুলাই বিপ্লবের পর এখন নানা রকম ‘ব্লেম গেম’ শুরু হয়েছে, যেখানে সশস্ত্র বাহিনীকে বিতর্কিত করার গভীর ষড়যন্ত্র লক্ষ করা যাচ্ছে। সমাজ মাধ্যমে সশস্ত্র বাহিনী সম্পর্কে মনগড়া তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে জাতিসংঘ মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক বিবিসিতে একটি সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী সম্পর্কে কিছু অযাচিত, অনভিপ্রেত এবং তাঁর দায়িত্বের বাইরে কথা বলেছেন। এ বক্তব্যগুলো কখনোই কাম্য নয়, কাঙ্ক্ষিত নয়। এসব বক্তব্য কখনোই রাষ্ট্রের জন্য শুভ নয়। ভলকার তুর্ক তাঁর ম্যান্ডেটের বাইরে গিয়ে এ ধরনের বক্তব্য দেওয়াটাকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করা খুবই কঠিন। তিনি কেন এবং কোন প্রেক্ষাপটে এ ধরনের কথা বলছেন সেটা তিনিই ভালো বলতে পারবেন। কিন্তু ৭ মার্চ বিবিসির ‘হার্ডটক’ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী সম্পর্কে যে মন্তব্য তিনি করেছেন, তা তাঁর দায়িত্বের মধ্যে পড়ে বলে মনে করেন না আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা। কারণ, বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী একটি ‘চেইন অব কমান্ড’-এর মধ্যে চলে। জাতিসংঘ মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারও একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালা এবং পদ্ধতির মাধ্যমে পরিচালিত হন।
সশস্রবাহিনীকে নিয়ে চলমান তর্কযুদ্ধ কখনোই দেশের জন্য মঙ্গলজনক নয়। এই ধরনের বিতর্ক আমাদের জাতীয় ঐক্যকে শুধু বিনষ্ট করবে না, আমাদের সার্বভৌমত্বকেও হুমকির মুখে ফেলবে। বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী একটি পেশাদার চৌকস বাহিনী হিসেবে সারা বিশ্বে সমাদৃত, পরিচিত। এই তো কয়েক দিন আগে গত অক্টোবরে সেন্ট্রাল আফ্রিকার বিদ্রোহী দমনে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর কমান্ডাররা গেলেন। সেখানে তাঁরা এক অসাধারণ অভিযানের মাধ্যমে বিদ্রোহ দমন করলেন।
অতিতেও সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার হয়েছে। পতিত সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় একটি মিথ্যা তথ্য প্রকাশ করেছিলেন। তিনি ‘কার্ল সিওভাক্কো’ নামে এক ব্যক্তির সাথে যৌথভাবে হার্ভার্ড ইন্টারন্যাশনাল রিভিউ জার্নালে ২০০৮ সালের নির্বাচনের ঠিক আগে আগে ১৯ নভেম্বর ‘স্টেমিং দ্য রাইজ অব ইসলামিক একস্ট্র্রিমিজম ইন বাংলাদেশ’ শিরোনামে একটি নিবন্ধ লিখেন। সেই নিবন্ধে জয় দাবি করেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৫ শতাংশ সৈনিক কওমি মাদরাসা থেকে রিক্রুট করা হয়েছে। জয় এ ভাবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে মৌলবাদী বলে চিহ্নিত করে মৌলবাদমুক্ত করার পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান। তথ্যটি ছিল সম্পূর্ণ মিথ্যা; কারণ সে সময় কওমি মাদরাসার সনদ সেনাবাহিনীতে যোগদানের যোগ্য ছিল না।
অন্যদিকে বিডিআর হত্যাযজ্ঞের মাধ্যমে ফ্যাসীবাদী সরকার এক ঢিলে অনেক পাখি মারার সুযোগ পেয়ে গিয়েছির। এক দিকে সেনাবাহিনীর মনোবলে চির ধরে, অন্য দিকে এ হত্যাযজ্ঞের বিষয়ে প্রতিবাদকারী দেশপ্রেমিক অফিসারদের চাকরিচ্যুত করতে থাকে। ফলে পিলখানায় বিদ্রোহের নামে হত্যা এবং পরবর্তী সময়ে প্রতিবাদকারীদের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী হিসেবে বহিষ্কার করার মাধ্যমে সেনাবাহিনীর ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব অত্যন্ত দুর্বল করে দেয়ার চেষ্টা করে।
জনমনে প্রশ্ন ? এখনো কি আবার দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও নতুন ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে ? কেন বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের প্রতীক সেনাবাহিনীকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেওয়ার ঘৃণ্য প্রচেষ্টা চলছে? কে করছে এইসব এবং কার ইশারায়? এ প্রশ্নগুলোর উত্তর সকলকে খুজে বের করতে হবে।
সশস্ত্র ইতিহাস পর্যালোচনা করতে দেখা যাবে, বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী সব দুর্যোগ, দুর্বিপাক এবং রাষ্ট্রীয় সংকটে জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে। মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠা আমাদের সশস্ত্র বাহিনী সব সময় জনগণের পক্ষে, শান্তির পক্ষে কাজ করেছে। ইতিহাস তাই বলে। আমরা যদি জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থান পর্যালোচনা করি, তাহলে দেখব সেখানেও সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকা ছিল গৌরবোজ্জ্বল। সশস্ত্র বাহিনী নিরীহ জনসাধারণের প্রতিপক্ষ হতে চায়নি। তারা জনগণকে অস্ত্র দিয়ে দমন করতে চায়নি। সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধান চেয়েছে। কিন্তু জুলাই বিপ্লবের পর এখন নানা রকম ‘ব্লেম গেম’ শুরু হয়েছে, যেখানে সশস্ত্র বাহিনীকে বিতর্কিত করার এক গভীর ষড়যন্ত্রই পরিলক্ষিত হচ্ছে বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করছে।
আইএসপিআরের বিবৃতিতে "গণ-অভ্যুত্থানে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর ভূমিকা সম্পর্কে জাতিসংঘ মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্কের মন্তব্যকে নাকচ করা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী মানবাধিকার তাত্পর্য যথাযথভাবে মূল্যায়ন করে এবং যেকোনো গঠনমূলক সমালোচনা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে। তবে অধিকতর সঠিকতা ও স্বচ্ছতার উদ্দেশ্যে ওই মন্তব্যের বিষয়ে কিছু স্পষ্টকরণ প্রয়োজন বলে মনে করে। বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার থেকে এ বিষয়ে কোনো ইঙ্গিত বা বার্তা সম্পর্কে অবহিত নয়। যদি এসংক্রান্ত কোনো উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়, তবে তা তত্কালীন বাংলাদেশ সরকারকে জানানো হয়ে থাকতে পারে, সেনাবাহিনীকে নয়। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জাতীয় নিরাপত্তা নির্দেশিকা অনুযায়ী কাজ করে এবং সর্বদা আইনের শাসন, মানবাধিকার নীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল। বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে যে ভলকার তুর্কের এই মন্তব্য কিছু মহলের মধ্যে ভুলভাবে উপস্থাপিত হচ্ছে, যা সেনাবাহিনীর ভূমিকা সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা সৃষ্টি এবং পেশাদারিকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।
আইএসপিআরের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নিরপেক্ষতা ও সততার মহান ঐতিহ্য ধারণ করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সর্বদা জনগণের পাশে থাকতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।"
দেশ জাতির ক্রান্তি লগ্নে যারা দেশকে রক্ষা করতে বিভিন্ন দুঃসময়ে, এমনকি বর্তমান দু:সয়েও রাত দিন পরিশ্রম করছেন। নিশ্চয়ই সচেতন নাগরিক হিসেবে আমি দৃঢ়ভাবে আমার দেশের সেনাবাহিনীর নেতৃত্ব এবং সেনাবাহিনীর পাশে। আর তখনই প্রশ্ন সেনাবাহিনীকে নিয়ে কেন এত অপপ্রচার বা নীতিবাচক প্রশ্ন ? তাহলে কি আমাদের সকলের অজান্তেই কোন অপশক্তি নতুন কোন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে বাংলাদেশের সশ্রস্ত্র বাহিনীকে বিতর্কিত করার জন্য। ষড়যন্ত্রকারীরা কী চায় তারা? বাংলাদেশে স্থিতিশীলতা কি তারা দেখতে চায় না? তারা কি চায় না জনগণের জন্যে শান্তি ফিরে আসুক?
আমাদের মনে রাখতে হবে বাংলাদেশ সশস্রবাহিনী প্রতিষ্ঠার পর থেকে কখনোই এমন কোনো সিদ্ধান্তস গ্রহন করে নাই যা জনগণের বিপক্ষে যায়। ১৯৯০'র স্বৈরাচার পতনের সময় সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকা ছিল অভাবনীয়, ইতিবাচক। সেই সময় তারা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের প্রতি অন্ধ আনুগত্য প্রদর্শন করে জনগণের মুখোমুখি দাঁড়ায়নি। সর্বশেষ ২০২৪ সালে গণ-অভ্যুত্থানের সময় সশস্ত্র বাহিনীর দায়িত্বশীল ও নিরপেক্ষ ভূমিকার কারণেই শেষ পর্যন্ত জনগণের বিজয় হয়েছে। সকলকে মনে রাখতে হবে, আমাদের সশস্ত্র বাহিনী আমাদের জনগণের প্রতিষ্ঠান। মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক একটি সুশৃঙ্খল বাহিনী। আমাদের রাষ্ট্রীয় অখণ্ডতা, সার্বভৌমত্বের মহান দায়িত্ব পালন করে বাংলাদেশের তিন বাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত সশস্ত্র বাহিনী। কাজেই কোনোভাবেই যেন আমরা সশস্ত্র বাহিনীকে বিতর্কিত করা উচিত হবে না। অযাচিত দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য করে এই বাহিনী সম্পর্কে জনমনে কোন বিভ্রান্তি সৃষ্টি হলে তা হবে দেশ জাতি ও রাষ্ট্রের জন্য দু:খজনক। জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশে যখন পুলিশ বাহিনী যখন পরিপূর্ণ নিষ্ক্রিয় হয়েছিল, তখনও দেশপ্রেমিক সশস্ত্র বাহিনী বাংলাদেশের মানুষের জানমালের রক্ষা করেছে। এখনো পর্যন্ত দেশে যেটুকু আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বলবত্ আছে সেটিও সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকার কারণে। এবারই প্রথম নয়, যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ-দুর্বিপাকে প্রথম অসহায় মানুষের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় সশস্ত্র বাহিনীর দেশপ্রেমিক সদস্যরাই। এ রকম বাস্তবতায় আমাদের প্রধান দায়িত্ব হলো রাষ্ট্রের আস্থার প্রতীক এই প্রতিষ্ঠানটিকে সব বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখা। এই প্রতিষ্ঠানটিকে যদি বিতর্কিত করা হয় তাহলে আমরাই অস্তিত্বের সংকটে পড়ব। বিপন্ন হবে আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের সংরক্ষক। যারা বুঝে না বুঝে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে তাদেরকে প্রতিহত করুন, যারা কোন পক্ষ দ্বারা প্ররোচিত হয়ে করছে তাদেরকে থামান। সুদুরপ্রসারী বিদেশী চক্রান্তকে রুখে দিন।
দেশপ্রেমিক সকল রাজনৈতিক শক্তি ঐক্যবদ্ধভাবে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আনুষ্ঠানিক শপথ নিন। ‘সেনাবাহিনী কোন দলের বা কোন পক্ষের নয়, তাদের বিতর্কিত করার চেষ্টা কখনো শুভ হবে না। সেনাবাহিনীকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করানোর কোন ষড়যন্ত্র সফল হতে দেয়া যাবে না।
জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে সেনাবাহিনীর কি কোনো ভূমিকা নেই? সেনাবাহিনী যদি ভূমিকা না রাখত, তা হলে কোনো গণ-অভ্যুত্থান বাংলাদেশে হতো না। যখন সেনাবাহিনী বন্দুকের নল আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট পুলিশের দিকে তাক করেছে, তখনই হাসিনা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। যারা সেনাবাহিনীকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করানো, বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে, তারা মূলত আরেকটি ১/১১ সংগঠিত করতে চাচ্ছে। ১/১১ এলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে এ দেশের রাজনৈতিক দল। কোনোভাবেই আরেকটি ১/১১ বাংলাদেশে সংগঠিত করতে দেয়া যাবে না।
লেখক : রাজনীতিক ও কলামিস্ট, মহাসচিব, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ ও চেয়ারপার্সন, ভয়েস অব কনসাস সিটিজেন-ভিসিসি