রাজশাহীর বাঘায় ঝড়ে পড়া আম ১০ টাকা প্রতিকেজি বিক্রি হয়। সোমবার (৫ মে) আড়ানী রেল স্টেশনে ভাই ভাই ফল ভান্ডারে এই আম ক্রয় করতে দেখা গেছে। রোববার বিকালে উপজেলার আড়ানী এলাকায় কালবৈশাখী ঝড়ে আম গাছ থেকে এই আম ঝড়ে পড়ে।
এ বিষয়ে উপজেলার আড়ানী বেড়েরবাড়ি গ্রামের আম বাগান মালিক একরাম হোসেন বলেন, ‘আমার আম বাগানে প্রতিটি গাছে ব্যাপক আম ধরেছিল। হঠাৎ ঝড়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আমার বাগানে প্রায় ১০০ মণ আম ঝড়ে পড়েছে। এই আম ১০ টাকা কেজি হিসেবে বিক্রি করা হয়েছে। কিছু আম লোকজন কুড়িয়ে নিয়ে গেছে।’
আড়ানী রেল স্টেশন বাজারে বিসমিল্লাহ ফল ভান্ডারের মালিক সুজাউদ্দিন বলেন, রোববার সকালে প্রতিকেজি ৮ টাকা হিসেবে সাড়ে ৩০০ মণ আম ক্রয় করি। সোমবার দুই টাকা বাড়িয়ে ১০ টাকা কেজি হিসেবে ১৫০ মণ আম ক্রয় করা হয়। আমগুলো সিলেটে চালান দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। ৮০ কেজি ওজনের বস্তা প্রতি খরচ হবে ৩০০ টাকা। আড়ৎ, লেবার খরচ বাবদ প্রতিকেজি খরচ হবে প্রায় ১৫ টাকা। বিক্রি হবে ১৭-২০ টাকা প্রতিকেজি। আমি প্রত্যেক বছর ঝড়ে পড়া আম ত্রয় করে চালান করি।
আড়ানী গোচর গ্রামের ঝড়ে পড়া আম বিক্রেতা শাহীন আলম বলেন, আমি বাগান পাহাড়াদার। ঝড়ে আম কুড়িয়ে বিক্রি করা হয়। ঝড়ে বাগান মালিকের অনেক ক্ষতি হয়েছে।
এ বিষয়ে সিয়াম ফল ভান্ডারের মালিক জামাল উদ্দিন বলেন, ঝড়ে পড়া আম ৬৫ মণ প্রতিকেজি ১০ টাকা হিসেবে ক্রয় করে ঢাকায় চালান দিয়েছি। এ বিষয়ে আড়ানী রেল স্টেশনের শাহিন মাস্টার বলেন, রোববারের ঝড়ে গাছপালা, ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আড়ানী নুরনগর গ্রামের সাবাজ আলীর স্ত্রী ফাইমা বেগম গাছের নিচে চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে। তিনি এক ঘর থেকে অন্য ঘরে যাওয়ার সময়ে বাড়ির ওঠানের নারকেল গাছ ভেঙ্গে চাপা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ সুলতান বলেন, উপজেলায় ৮ হাজার ৩৬৮ হেক্টর এলাকায় আম গাছ রয়েছে। রোববার বিকালে আড়ানী ও বাউসা এলাকায় ঝড়ে কিছু আমের ক্ষতি হয়েছে। উপজেলায় ১ লাখ মেট্রিক আমের উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।