মাদক সেবনের অপরাধে মাদকাসক্ত সন্তানকে প্রশাসনের হাতে তুলে দিয়েছেন বাবা-মা। সোমবার নাটোরের বড়াইগ্রামেএ ঘটনা ঘটে। মাদকাসক্ত ওই তরুণের নাম স্বাধীন ইসলাম (২৬)। সে উপজেলার আগ্রান গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ১০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
সোমবার দুপুরে এ দণ্ড প্রদান করেন ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লায়লা জান্নাতুল ফেরদৌস। একই সঙ্গে ভ্রাম্যমাণ আদালতে আপন দুই ভাই সহ আরো চার মাদক সেবীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও আর্থিক জরিমানা করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, মাদকাসক্ত স্বাধীনের কারণে দীর্ঘদিন ধরে পরিবারে অশান্তির সৃষ্টি হচ্ছে। সে নিয়মিত মাদক সেবন করে। মাদক সেবনের টাকার জন্য সে প্রতিনিয়ত পরিবারের লোকজনের ওপর অত্যাচার করে আসছে। তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে সোমবার দুপুরে বাবা-মা তাকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের হাতে তুলে দেন। পরে তার বাবা-মায়ের অভিযোগসহ তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়। এছাড়াও একই দিনে মাদক সেবন ও বিক্রির অভিযোগে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে উপজেলার পারকোল গ্রামের হাফিজুর খানের ছেলে রিয়াজুল খানকে এক বছর, কালিকাপুর বেড়পাড়া গ্রামের মকবুল মন্ডল এর ছেলে আব্দুল হালিম ও আব্দুল বারেককে এক মাস করে এবং হারোয়া গ্রামের মনির উদ্দিনের ছেলে মনজুর হোসেন কে সাতদিনের কারাদন্ডসহ প্রত্যেককে একশ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
মাদকসেবী স্বাধীন ইসলামের বাবা আব্দুস সালাম জানান, নানা ভাবে চেষ্টা করে, শতবার নিষেধ করেও আমার ছেলেকে মাদক সেবন থেকে ফেরাতে পারিনি। বরং দিন দিন তার অত্যাচারের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই বাধ্য হয়ে আমাকে প্রশাসনের সাহায্য নিতে হয়েছে।
ইউএনও লায়লা জান্নাতুল ফেরদৌস জানান, দুপুরেই পুলিশ স্বাধীন সহ কারাদণ্ডপ্রাপ্ত মোট পাঁচজনকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠিয়েছে।