ঢাকাসহ ৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েও আর্থিক সংকটে ভর্তিতে অনিশ্চয়তা

এফএনএস (এ.কে. আজাদ সেন্টু; লালপুর, নাটোর) : | প্রকাশ: ৫ মে, ২০২৫, ০৮:১৩ পিএম
ঢাকাসহ ৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েও আর্থিক সংকটে ভর্তিতে অনিশ্চয়তা

নাটোরের লালপুরে অটো রিকশা চালকের সন্তান মেধাবী শিক্ষার্থী  ঢাকা ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সহ মোট ৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েও পরিবারের আর্থিক সংকটের কারণে ভর্তিতে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

জুবায়ের ইবনে আল মাহমুদ একজন মেধাবী শিক্ষার্থী। তিনি নাটোরের লালপুর উপজেলার শিবনগর গ্রামের দরিদ্র অটো রিক্সা চালক কামরুজ্জামান ইমনের সন্তান। ঢাকা ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সহ মোট ৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েও পরিবারের আর্থিক সংকটের কারণে ভর্তিতে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

নিঃসন্দেহে এই সাফল্যের গল্প সত্যিই অনুপ্রেরণাদায়ক। একজন দরিদ্র অটোরিক্সা চালকের ছেলে হয়েও জুবায়ের ঢাকা ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সহ ৬টি স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাওয়া তার অদম্য ইচ্ছাশক্তি ও মেধাকেই প্রমাণ করে।

তবে আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে তার ভর্তি অনিশ্চিত হয়ে পড়া অত্যন্ত দুঃখজনক। সমাজের হৃদয়বান ও শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিদের এগিয়ে আসা উচিত, যাতে জুবায়ের তার শিক্ষাজীবন সুচারুভাবে চালিয়ে যেতে পারেন এবং তার স্বপ্ন পূরণ করতে সক্ষম হন। সেই সাথে দেশের মুখ যেন উজ্জ্বল করতে পারেন।

তার এই অর্জনে শুধু তার পরিবার নয়, পুরো লালপুরবাসী সহ দেশবাসী গর্বিত।

এলাকাবাসীর প্রত্যাশা দ্রুত তার আর্থিক সমস্যার সমাধান হবে এবং সে উচ্চ শিক্ষাঙ্গনে জ্ঞান অর্জনের সুযোগ পাবেন।

মেধাবী এই শিক্ষার্থী নাটোরের লালপুর উপজেলার ঈশ্বরদী ইউনিয়নের শিবনগর গ্রামের দিনমজুর অটোরিক্সা চালক কামরুজ্জামান ইমনের মেধাবী সন্তান। মা সাবিনা বেগম একজন গৃহিণী, এক ভাই ও দুই পাবোন নিয়ে তাঁদের ৫ সদস্যের সংসার। ভিটে বাড়ির জমি ছাড়া আবাদী জমিজমা কিছুই নেই।

দিনমজুর অটোরিক্সা চালক বাবা তাদের পড়ালেখার খরচ যোগাড় করতে পাড়ী জমিয়েছিলেন বিভাগীয় শহর রাজশাহীতে। সেখানে তিনি ভাড়ায় অটো রিকশা চালাতে গিয়ে এক বছরের মাথায় সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হন। এতে তার বাম পা ভেঙ্গে যায়। বর্তমানে তিনি বাড়িতে অসুস্থ অবস্থায় চরম অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে সময় অতিবাহিত করছেন। তার তিন ছেলে মেয়ে সকলে যথেষ্ট মেধাবী। অতি কষ্টে বড় সন্তানকে আজকের এই দিন পর্যন্ত নিয়ে এসেছেন। বাকিদের নিয়েও তার   অনেক স্বপ্ন অনেক প্রত্যাশা ।

নিজে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে শারীরিক ভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছেন, কাজেও যেতে পারেননা। আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে অসহায় বাবা নিরুপায়, তার কিছুই করার নেই। তাই অসহায় পিতা কামরুজ্জামান সমাজের হৃদয়বান বৃত্তশালী ব্যক্তিদের প্রতি সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন। তাঁর সন্তান যেন দেশের মুখ উজ্জ্বল করতে পারে।

মা সাবিনা বেগম সন্তানের জন্য সকলের নিকট দোয়া চেয়েছেন।

এই মেধাবী শিক্ষার্থীর পাশে দাঁড়াতে সমাজের বৃত্তশালীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে