দিনাজপুরের কাহারোলে বোরো ধানের ক্ষেতে হাওয়ায় দুলছে কৃষকের সোনালী স্বপ্ন। কাহারোল উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মাঠে-মাঠে চলছে আগাম জাতের বোরো ধান কাটা মাড়াইয়ের মহা উৎসব। কৃষকেরা সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ধান কাটা শ্রমিক নিয়ে ধান কাটছেন এবং মাড়াই করছেন। বর্তমান বাজারে ধানের দাম ভালো থাকায় মহা খুশী বোরো চাষীরা। আবহাওয়া ভালো থাকায় ধান কাটা ও মাড়াই এ স্বস্তি পাচ্ছেন চাষীরা।
কাহারোল উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি বোরো মৌসুমে এবার উপজেলায় বোরো ধানের চাষ করা হয়েছে ৫ হাজার ৫ শত ৭০ হেক্টর জমিতে। আগাম জাতের ২৮, ৫৮, ৮৮ ও বগুড়া কাঠারি জাতের ধান কাটা চলছে। বাজারে প্রতি মণ ধান প্রকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ১১ শত থেকে ১১ শত ৫০টাকা।
মঙ্গলবার সকাল ১০টায় উপজেলার বোরো ধানের ক্ষেত ঘুরে দেখা যায়, মাঠে-মাঠে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে সোনালী রং এর পাকা ধান। মনের সুখে এসব ধান কাটছেন শ্রমিকেরা। কৃষি শ্রমিক বাবু জানায়, এক বিঘা জমিতে ধান কাটতে ৩৫ শত টাকা চুক্তি হয়েছে। বাজারে ধানের দাম ভালো থাকায় ধান উৎপাদনে মনোযোগী হয়েছেন উপজেলার চাষীরা। উপজেলার ইশানপুর গ্রামের কৃষক মফিজ উদ্দিন বলেন, তিনি এবার ৭ একর জমিতে বোরো চাষ করেছেন এবং তার ভাই তিনিও প্রায় ৭ একর জমিতে বোরো চাষ করেছেন। এলাকায় আরও ঘুরে দেখা গেছে, যে ধান বেশী পাক ধরেছে সেই ধান কাটছেন কৃষকেরা।
কাহারোল উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি কর্মকর্তা মল্লিকা রানী সেহানবীশ জানান, চলতি বোরো মৌসুমে এই উপজেলায় বোরো ধানের লক্ষমাত্রা ছড়িয়ে গেছে। মাঠে বোরো ধানের ফলন এখন পর্যন্ত ভালো রয়েছে। এছাড়াও উন্নত জাতের বীজ থেকে প্রতি শতকে এক মণ হারে কৃষকেরা ধান পাবেন বলে আশা করছেন তিনি। তিনি আরও বলেন, আবহাওয়া ভালো থাকলে কৃষকেরা তাদের ফসল ঘরে তুলতে পারবেন। এই উপজেলায় আমার যোগদানের পর থেকে কৃষকদের সার্বিক সহযোগীতা করে আসছি। আশা করছি, কৃষকেরা এবার বোরো আবাদ করে লাভবান হবেন।