সিলেট বিআরটিএ (বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ) কার্যালয়ে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযোগ রয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে এখানে কোটি টাকার ঘুষ লেনদেন হয়ে আসছিল। অভিযানের সময় মোটরযান পরিদর্শক দেলোয়ার হোসেনের দপ্তর থেকে ৫টি স্বাক্ষরবিহীন চেক, ৩টি মোবাইল ফোন ও একটি হকিস্টিক উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উদ্ধারকৃত হকিস্টিকটি গ্রাহকদের ভয় দেখাতে ও শারীরিকভাবে নির্যাতনের জন্য ব্যবহার করা হতো বলে অভিযোগ রয়েছে।
এছাড়াও, কার্যালয়ের রেকর্ড কিপার আব্দুর রাজ্জাকের কাছ থেকে একটি আবেদনপত্রের সঙ্গে গ্রাহকের ৫ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। দুদক কর্মকর্তারা জানান, এসব নথিপত্র যাচাই-বাছাই করে কমিশনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পাঠানো হবে।
তবে অভিযুক্ত দেলোয়ার হোসেন সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি দাবি করেন, জব্দ করা মোবাইল ফোনগুলো আগে দালালদের কাছ থেকে জব্দ করা হয়েছিল এবং হকিস্টিকটিও তার ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়। ঘুষ সংক্রান্ত অভিযোগের সঙ্গে তিনি কোনোভাবেই সম্পৃক্ত নন বলেও জানান তিনি।
ঘটনার পর বিআরটিএ অফিসে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় সচেতন মহল ও সেবা প্রত্যাশীরা দুদকের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানালেও স্বচ্ছ তদন্ত ও দোষীদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছেন তারা।