বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় বললেন,
“ষড়যন্ত্র হচ্ছে গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে। হাসিনা করেছে ১৬-১৭ বছর ধরে। কোনোভাবেই তিনি নির্বাচন মানতে চাননি। জালিয়াতির নির্বাচন করে ক্ষমতায় ছিল। তাকে দেখলেই মূলত ডাইনিসুলভ চেহারার মতো লাগে। এমন খুনি, গণহত্যাকারী, নির্যাতনকারী, লুটেরা এই বাংলাদেশে দ্বিতীয় কেউ জন্মেছে বলে আমার জানা নেই। শেখ হাসিনাকে বিদায় করা হয়েছে গণতন্ত্রের প্রত্যাশায়। এখনো যদি ভোটের দাবি জানাতে হয়, এর থেকে লজ্জা আর কিছু নেই।”
বর্তমান সরকারের উদ্দেশে শামসুজ্জামান দুদু বলেন,
“সামগ্রিক বিষয় বিবেচনা করে আপনি যত তাড়াতাড়ি নির্বাচন দেবেন, দেশের জন্য তত মঙ্গল হবে। বিশৃঙ্খলা থেকে দেশ রক্ষা পাবে এবং আপনাদেরও মানসম্মান থাকবে। মানুষ ১৬ বছর ভোট দিতে পারেনি। ৫ আগস্ট হাসিনার পতনের পর মানুষ স্বপ্ন দেখেছে, এবার ভোট দেওয়ার দিনটা এসেছে। বিএনপি ১৬-১৭ বছর ধরে নিরলসভাবে কাজ করে গেছে। নেতাকর্মীরা গুম-খুনের শিকার হয়েছেন, ফাঁসির দড়ি কাঁধে নিয়েছেন। প্রায় পৌনে পাঁচ হাজার নেতাকর্মী গুম-খুনের শিকার হয়েছেন। এটা শুধু বিএনপির হিসাব, এর বাইরেও অনেকে আছে। বিএনপির এসব ত্যাগ একমাত্র গণতন্ত্রের জন্য।”
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বলেন,
“বেগম জিয়া লন্ডন থেকে যখন দেশে এলেন, শুধু ঢাকা শহর নয়; সারা বাংলাদেশ যেন রাস্তায় নেমে এসেছে। সারাদেশ উদগ্রীব হয়েছিল। খালেদা জিয়া শুধু আমাদের নেত্রী নন, সারা বিশ্বের গণতন্ত্রের আন্দোলনের প্রতীকে রূপান্তরিত হয়েছেন। গণতন্ত্রের মাতা হিসেবেও চিহ্নিত হয়েছেন খালেদা জিয়া। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য তারেক রহমান ও তার পরিবার নির্যাতনের শিকার হয়েছে। তারেক রহমান প্রায় দুই দশক ধরে দেশের বাইরে আছেন। তাকে দেশে আসতে দেওয়া হয়নি। তার ওপর যে অত্যাচার হয়েছে, তাকে আল্লাহ রক্ষা করেছেন। তার ছোট ভাই (কোকো) নির্যাতনের কারণে মারা গিয়েছিল। তাকে হত্যা করা হয়েছে।”