সৈয়দপুর উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নে করা হচ্ছে রাস্তা সংস্কার কাজ। ইউনিয়নের অসুরখাই মুন্সিপাড়ায় রাস্তার সোলিংয়ের কাজ করা হচ্ছে নিম্নমানের ইট দিয়ে। ইউনিয়নের বার্ষিক উন্নয়ন সহায়তা তহবিলের দুই লাখ টাকা বরাদ্দে করা হয় ওই কাজ। ৩শ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৮ ফুট প্রস্তের গ্রামীণ জনপদ উন্নয়ন কাজে এ অনিয়ম দুর্নীতি করা হলেও যেন দেখার কেউ নেই। ওই প্রকল্পের চেয়ারম্যান হলেন 'ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার হোসনে আরা। কাজের অনিয়মের বিষয়ে এলাকাবাসী প্রতিবাদ করলেও কোন কাজ হয়নি। বরং পুরোদমে তাড়াহুরো করে কাজ সম্পন্ন করা হচ্ছে। কাজের স্থানে গেলে এলাকাবাসী প্রত্যক্ষভাবে অনিয়মের বিষয়টি তুলে ধরেন। এ সময় স্থানীয় খুরশিদ আলম (৬৫) বলেন, দেখেন একেবারে নম্বরহীন ইট দিয়ে রাস্তার সোলিং করা হচ্ছে। এ ধরনের ইটকে বলা হয় গুড়িয়া ও সাল্টি ইট। তাছাড়া রাস্তার পশ্চিমে রেজিংয়ের পাশে কোনো মাটি না থাকায় যেকোনো সময় তা ধসে যেতে পারে। কাজ সম্পাদনকারী মিস্ত্রি কাশেম আলী বলেন,এখন অফ সিজন। তাই ১ নম্বর ইট পাওয়া যাচ্ছে না। সিডিউলে ১ নম্বর ইট দেয়া থাকলেও কাজ করছি ২ ও ৩ নম্বর গুড়িয়া আর সাল্টি ইট দিয়ে। এ বিষয়ে মেম্বার হোসনে আরা বলেন,এগুলোই এখন ১ নম্বর ইট, বাজেট এর চেয়ে ভালো ইট দেয়া সম্ভব নয়। তাছাড়া গত তিন বছরে এই প্রথম একটি প্রজেক্ট পেয়েছি। তাও আবার ৩ ওয়ার্ডের তিনজন মেম্বারসহ আমি কাজটি করছি। তারা বলেন, চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন সব ধরনের প্রকল্পের কাজ নিজে করেছেন। ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন সরকার বলেন, এ কাজ দেখার কথা উপজেলা প্রকৌশল বিভাগের। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে তারাই ব্যবস্থা নিবে তথা কাজের বিল দেবে না। উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী এম এম আলী রেজা (রাজু) বলেন, কাজটি ইউনিয়ন উন্নয়ন তহবিলের বরাদ্দে করা হচ্ছে। এখানে উপজেলা প্রকৌশলের দেখার দায়িত্ব নয়। এটি দেখবেন ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার। সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ নুর- ই - আলম সিদ্দিকী বলেন, নিম্নমানের ইট দিয়ে যদি কাজ করা হয় তাহলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।