নাচোলে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন

এফএনএস (মোঃ আবদুস সাত্তার; নাচোল, চাঁপাইনবাবগঞ্জ) :
| আপডেট: ৯ মে, ২০২৫, ০৬:০৮ পিএম | প্রকাশ: ৯ মে, ২০২৫, ০৬:০৮ পিএম
নাচোলে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন

চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলের ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ নাচোল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বাইরুল ইসলামকে দ্বায়িত্ব থেকে অপসারণ এবং তার অনিয়ম, দূর্ণীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীরা মানববন্ধন করেছেন। ৭মে (বুধবার) সকাল ১০টার দিকে সকল শিক্ষক-কর্মচারীদের আয়োজনে বিদ্যালয়েরর প্রধান গেট সংলগ্ন সড়কে এ মানববন্ধন পালিত হয়। ১৯৫৭ সালে স্থাপিত উপজেলার ঐতিহ্যবাহী এ বিদ্যালয়ের অবসরজনিত কারণে ২০০৭ খ্রিস্টাব্দে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য হয়। তার পর থেকেই বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক বাইরুল ইসলাম প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। দীর্ঘ ১৭ বছর  ধরে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের পদে অধিষ্ঠিত  থাকায় বাইরুল ইসলাম কোন নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে দূর্ণীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার দুর্গ গড়ে তুলেছেন বিদ্যালয়টিকে। এ ছাড়াও বাইরুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিএড সনদ জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। এ অবস্থায় বিভিন্ন বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও সহকারি শিক্ষকদের মাঝে মতানৈক্য প্রকট আকার ধারণ করায় বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান তলানীতে নিয়ে  ঠেকেছে। যার ফলে ছাত্র, শিক্ষক, অভিভাবকসহ সর্বস্তরে দাবি উঠেছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বাইরুল ইসলামকে ভাবপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের পদ থেকে অপসারণ করে ঐতিহ্যবাহী স্বনামধন্য এ বিদ্যালয়টিকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হোক। এদিকে গত ২৮এপ্রিল বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকার সুধীজনের অংশগ্রহণে মানববন্ধন পালন শেষে জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। এর প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের পরামর্শে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বিদ্যালয়ের অ্যাডহক কমিটির সভাপতিকে ভারপ্রাপ্ত পওধান শিক্ষক বাইরুল ইসলামের বিরুদ্ধে উত্থাপিত বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ গুলো ক্ষতিয়ে দেখে প্রতিবেদন প্রেরণের জন্য নির্দেশনা পূর্বক পত্র প্রদান করা হয়। কিন্তু সভাপতি কালক্ষেপণ করে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন জমা না দেয়ায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্বিতীয় বারের মত সভাপতিকে শোকজ নোটিশ প্রদানের মাধ্যমে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন প্রেরণের জন্য পত্র দেন।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে