সাবেক জেলা পরিষদ সদস্যের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ

এফএনএস (মহানন্দ অধিকারী মিন্টু; পাইকগাছা, খুলনা) : | প্রকাশ: ১০ মে, ২০২৫, ০৮:০১ পিএম
সাবেক জেলা পরিষদ সদস্যের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ

খুলনা জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য নাহার আক্তারের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক জমি দখল, বসত-বাড়ি ভাংচুর, লুটপাট, মারপিট ও মিথ্যা মামলায় হয়রাণির অভিযোগে শনিবার (১০ মে) পাইকগাছার কপিলমুনিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। হরিঢালী ইউনিয়নের মাহমুদকাটি গ্রামের মৃত উজির আলী গোলদারের ছেলে সাত্তার গোলদার তার কপিলমুনি প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত আওয়ামী লীগের শাসনামলে তৎকালীণ জেলা পরিষদের প্রভাবশালী সদস্য স্থানীয় নাহার আক্তার (৪৫) ও তার পোষা সন্ত্রাসীদের দ্বারা হামলা, মামলা ও হয়রাণির শিকার হয়ে বাড়িছাড়ার উপক্রম হয়েছিল তারা। সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য লেডি সন্ত্রাসী নাহার আক্তার ও তার অনুগত সন্ত্রাসীরা তার কাছে কয়েক দফায় ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে। তাদের চাহিদামত টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় নানাভাবে হুমকি-ধামকি ও অনুগত বহিরাগত সন্ত্রাসীদের নিয়ে তার বাড়িতে দেশীয় অস্ত্রসহ হামলা করে ভাংচুর, লুটপাট ও মারপিট করে। ঐসময় তারা নগদ আড়াই লক্ষ টাকাসহ ৪ লক্ষ টাকার স্বর্ণালংকার লুট ও বসত-বাড়ি ভাংচুর করে অন্তত সাড়ে ৬ লক্ষ টাকার ক্ষতিসাধান করে। এসময় তারা ঘটনার প্রতিবাদ করলে বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ত্রাস সৃষ্টি করে। এসময় তারা তার ও তার স্ত্রী-ছেলেদের মারপিট করে গুরুতর যখম করে। এসব ঘটনায় থানায় মামলা করতে গিয়ে ব্যার্থ হয়ে পাইকগাছা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নাহার আক্তারকে প্রধান করে ৯ জনের নাম উল্লেখ পূর্বক একটি মামলা দায়ের করেন। যার নং-৬০৫/২০। এর আগে তারা তার একটি দোকান ঘরের অবৈধভাবে দখল নেওয়ার অপচেষ্টা শুরু করলে তিনি পাইকগাছা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফৌ:কা:বি: ১৪৪ ধারা মোতাবেক একটি মামলা করেন। যার নং-এম,আর-১২৫/২০। যা চলমান রয়েছে। মূলত এ মামলার পর তারা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে একের পর এক হুমকি-ধামকি দিতে থাকে। এক পর্যায়ে তিনি নাহারের বিরুদ্ধে চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চেয়ে পাইকগাছা সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে গত ২০২০সালে ১৭ নভেম্বর একটি মামলা করেন। যার নং-২৬০/২০। মামলা চলাকালীণ সাত্তার অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আবেদন করলে আদালত নাহারকে কারণ দর্শাও নোটিশ জারী করে। এতে সে জবাব দাখিল করলেও আদালতের স্থিতিশিলতা বজায় রাখার আদেশ অমান্য করে দোকান ভাংচুর ও লুটপাট করে তদস্থলে টিনশেড ঘর নির্মাণের অপচেষ্টা করে। সাবেক জেলা পরিষদের মহিলা সদস্য নাহার আক্তার অভিযোগের বিষয় অস্বীকার করে বলেন, আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমি শারীরীক ভাবে অসুস্থ হয়ে এক পা হারিয়েছি এবং এক পা  নিয়ে স্বাভিকভাবে চলাফেরা করতে পারি না।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে