যশোরের ঝিকরগাছায় উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাবিরা নাজমুল মুন্নির সন্ত্রাসী গ্রুপের হাতেই অপর সন্ত্রাসী নিহত হয়েছেন। এলাকায় প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করেই আশা নামের এক সন্ত্রাসী গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকায় নেয়ার পথে নিহত হয়েছেন। অপর সন্ত্রাসী সহোদর মইদুল আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় আটক ৬ জন হলেন - ছুটিপুর গ্রামের আহম্মদ আলী (৬০) এবং রাকিব (২০), কাগমারি গ্রামের ওলিয়ার রহমান (৫২) এবং শাহাঙ্গীর (৪৫), মোহাম্মদপুর গ্রামের জোনাব আলী (৫৫) আরব আলী (৫০) ।
ঝিকরগাছা উপজেলার গঙ্গানন্দপুর ইউনিয়নে প্রভাব বিস্তার কে কেন্দ্র করে উপজেলা বিএনপি'র সভাপতি সাবিরা নাজমুল মুন্নির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
স্থানীয়রা জানান, শনিবার সন্ধ্যায় ছুটিপুর বাজার কমিটির সভাপতি আহমদ আলীর দোকানে হামলা চালায় আশা ও মইদুল নামের সহোদর দুই সন্ত্রাসী।
এ খবর পেয়ে ছুটিপুর বাজার কমিটির সভাপতি আহমদ আলীর ছেলে বিপ্লব, কাগমারি গ্রামের নসু এবং মোহর সহোদর সন্ত্রাসীদের উপরে হামলা চালায়। এ হামলায় সহোদর আশা ও মইদুল গুরুতর আহত হয়ে যশোর সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হন। আশার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে দ্রুত ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়। হাসপাতালে নেয়ার পথে রবিবার (১১ মে) ভোর রাতেই আশা মারা যান।
ঝিকরগাছা থানা বিএনপির সভাপতি সাবেরা নাজমুল মুন্নির দুই অনুসারী উপজেলা বিএনপির কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মমিনুর রহমান এবং গঙ্গানন্দপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সোহেল খান এই দুই গ্রুপের নেতৃত্ব দেন।
কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মমিনুর রহমান জানান, ইউনিয়নের দুরবস্থার কথা সভাপতি সাবিরা নাজমুল মুন্নি এবং ঝিকরগাছা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমরান হাসান সামাদ নিপুনকে জানানো হয়েছিল ।
রবিবার (১১ মে) বিকালে ঝিকরগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ বাবলুর রহমান খান জানান, নিহতের ঘটনায় ৬ জনকে আটক করা হয়েছে। তবে হত্যার ব্যাপারে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।