২০২৪ সালের ৫ই আগস্ট তারিখে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের আগে এবং পর থেকে অতিবৃষ্টি ও ভারি যানবাহনের চাপে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত চাঁদপুর সড়ক বিভাগের পুরান বাজার ব্রিজ ও দোকানঘর-বহরিয়া- হরিনা এবং রঘনাথপুর ওয়াপদা রাস্তার খুবই ভঙ্গুর অবস্থা বিরাজমান ছিল। এতে যান চলাচল ব্যাহত হবার পাশাপাশি যাত্রী সাধারণের পথ চলায় দুর্ভোগ পোহাতে হতো। এই রাস্তার সমস্যা নিয়ে জেলা প্রশাসকের উন্নয়ন সভায় একাধিকবার আলোচনা পর্যন্ত হয়েছে।
অবশেষে উল্লেখিত রাস্তা গুলো দ্রুত সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে চাঁদপুর সড়ক বিভাগ। ইতিমধ্যে পুরান বাজার নতুন বাজার ব্রিজ সংযুক্ত রাস্তা মেরামত কাজ করা হয়। রঘুনাথপুর ওয়াপদা এবং দোকানঘর হতে বহরিয়া লক্ষ্ণীপুর হরিণও পর্যন্ত রাস্তার ছোট বড় গর্তগুলো ভরাটসহ জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটির সংস্কার কাজও চলমান রয়েছে।
দীর্ঘদিনের ভেঙে যাওয়া সড়কগুলো দ্রুত সংস্কার হওয়ায় জনমনে স্বস্তি ফিরে এসেছে। যোগাযোগ ব্যবস্থার দুর্ভোগ লাঘব হওয়ায় তারা আনন্দিত হয়েছেন।
পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় থেকে এই রাস্তাগুলোর সমস্যা বিদ্যমান ছিল। সেগুলো দ্রুত সংস্কার হওয়ায় বর্তমানে এই সড়কগুলো দিয়ে সকল প্রকারের যানবাহন চলাচল করতে পারছে। তবে এই রাস্তার বড়ধরনের উন্নয়ন কাজের জন্য
পিএমপি ম্যাজর অগ্রাধিকার তালিকায় প্রস্তাব প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, দোকানঘর থেকে হরিণা ফেরিঘাট চৌরাস্তা পর্যন্ত চাঁদপুর সদর দক্ষিণ এলাকা ও হাইমচর উপজেলার বাসিন্দাদের জেলা সদরে আসা যাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক এটি। অন্য সড়ক দিয়ে আসার ব্যবস্থা থাকলেও সময় ও অর্থ কম ব্যয় হয় এই সড়কে।
দোকান ঘর রামদাসদী এলাকার বাসিন্দা টোটন মজুমদার বলেন,পুরান বাজার রাস্তা, দোকান ঘর থেকে বহরিয়া লক্ষ্ণীপুর রাস্তাটির খুবই খারাপ অবস্থা ছিল। সড়ক বিভাগ অবশেষে চলার মত রাস্তা সংস্কার করায় আমরা স্বস্তি বোধ করছি। তবে ভারী যানবাহন চলাচল করে সড়কটি উঁচু-নিচু হয়ে আছে। যানবাহন খুবই ধীরগতিতে চলে। রাতের বেলায় আরও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে সড়কটি। সাময়িক সমস্যা সমাধানে সংস্কার কাজ করা হলেও গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তাটির বড় ধরনের উন্নয়ন কাজ করা দরকার।
অপরদিকে, পুরান বাজার লোহারপুল থেকে এমদাদিয়া মাদ্রাসা পর্যন্ত চাঁদপুর পৌরসভার রাস্তাটি যাতায়াতের জন্য অনুপোযোগী হয়ে পড়ে রয়েছে। পৌর কতৃপক্ষকে এ ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া খুবই জরুরী।
এ বিষয়ে সড়ক বিভাগ চাঁদপুরের (সড়ক শাখা-২) এর উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. জসিম উদ্দিন জানান,জনদুর্ভোগ রাঘবের জন্য আপাতত আমরা সড়কটির বড় ধরনের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষার জন্য পিএমপি মাইনর থেকে সংস্কার কাজ করছি। এইসব রাস্তা পিএমপি ম্যাজর অগ্রাধিকার তালিকায় প্রস্তাব প্রেরণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, রঘুনাথপুর গুচ্ছগ্রাম এলাকা দিয়ে রাস্তার কার্পেটিং হয়েছে। দোকানঘর থেকে বহরিয়া বাজার পর্যন্ত সড়ক সংস্কার কাজ করা হচ্ছে। বরাদ্দ অনুসারে কাজ হচ্ছে।
উল্লেখ্য, বিগত পাঁচই আগস্ট ছাত্র জনতার আন্দোলনের সময় চাঁদপুর সড়ক বিভাগ কার্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অনেক কাজ থমকে যায়। রাস্তার সমস্যা সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীকে অনুরোধ করে দ্রুত উল্লেখিত রাস্তা সংস্কার কাজ করানো হয়। এতে যানবাহন চালক থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ অনেকেই কর্তৃপক্ষকে মৌখিকভাবে ধন্যবাদ জানাতে শোনা যায়।