ইবির বিএমই বিভাগে সেমিনার অনুষ্ঠিত

এফএনএস ( মো. রানা আহম্মেদ (অভি); ইবি, কুষ্টিয়া) : | প্রকাশ: ১২ মে, ২০২৫, ০৭:০৮ পিএম
ইবির বিএমই বিভাগে সেমিনার অনুষ্ঠিত

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং (বিএমই) বিভাগের আয়োজনে ‘সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন বিভাগে বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগ সংক্রান্ত জটিলতা, বাঁধা, সীমাবদ্ধতা ও ইত্যাদি বিষয়ে সমস্যা সমাধান’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১২ মে) দুপুর ২টায় বিভাগটির ৩০৩ নং কক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে  ÔPython Bootcamp: Basic to IntermediateÕ- কোর্সের ৪৩ জন অংশগ্রহণকারীদের শিক্ষার্থীকে সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সভাপতি ড. মো. খাইরুল ইসলামের সভাপতিত্বে সেমিনারে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট)-এর বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সভাপতি ড. মো. তারিক আরাফাত এবং খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট)-এর অধ্যাপক ড. মো. বশির উদ্দিন।

সেমিনারে শিক্ষার্থীরা সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন সেক্টরে বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগ সংক্রান্ত জটিলতা, বাঁধা, সীমাবদ্ধতা সমাধানে বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন।‌

শিক্ষার্থীদের দাবিসমূহ হলো- বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনে সাইন্টিফিক অফিসার ও সিনিয়র সাইন্টিফিক অফিসার পদে বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারদের সংযোজন। মেডিকেল কলেজ, বিশেষায়িত হাসপাতাল ও জেলা হাসপাতালে বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য স্থায়ী পদ সৃষ্টি ও নিয়োগের ব্যবস্থা করা। বিসিএসের টেকনিক্যাল বা প্রফেশনাল ক্যাডারে বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ার অন্তর্ভুক্ত করার ব্যবস্থা গ্রহণ। বিভিন্ন কোম্পানির সাথে সংযোগ স্থাপন ইত্যাদি।

ইবি বায়োমেড ইনোভেটস ক্লাবের সহ-সভাপতি মো. মাহফুজার রহমান বলেন, ‘বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের জ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনকে ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে কাজ করছে। বাংলাদেশে বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য কর্মসংস্থান প্রসারের লক্ষ্যে আমরা বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি প্রদানের প্রস্তুতি নিচ্ছি এবং বুয়েট ও কুয়েটের বিএম‌ই বিভাগের সভাপতিদের সঙ্গে একযোগে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছি।’

বুয়েটের বিএমই বিভাগের সভাপতি ড. মো. তারিক আরাফাত বলেন, ‘আমাদের দক্ষ ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার পাশাপাশি এক্সট্রা কারিকুলার এক্টিভিটিস ও সফট স্কিলস বাড়াতে হবে। যে কাজই করি না কেন সেই কাজে নিজের সম্পূর্ণটা দিয়ে পরিপূর্ণভাবে কাজ করতে হবে। চাকরিক্ষেত্রে আমাদের ফ্যাসিলিটি প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। শিক্ষার্থীদের করা দাবিগুলো আমি মাথায় রেখেছি এবং এ নিয়ে আমি কাজ করবো।’

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সভাপতি ড. মো. খাইরুল ইসলাম বলেন, ‘এই ধরনের যৌথ সভা আমাদের বিভাগের জন্য অত্যন্ত ইতিবাচক। দেশের অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন ও গবেষণায় সহযোগিতার সুযোগ সৃষ্টি হয়। শিক্ষার্থীদের উত্থাপিত দাবিগুলো যৌক্তিক এবং আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বাস্তবায়নের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব।’

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে