বরগুনার আমতলী উপজেলা ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) তারেক হাসানের বিরুদ্ধে পায়রা নদীর ইলিশ মাছ জব্দ করে আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (১৫ মে) বরগুনা জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন মৎস্য ব্যবসায়ী ও তালতলী জেলে শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সেলিম মাতুব্বর।
লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তারেক হাসান বুধবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে আমতলী বটতলা বাস স্ট্যান্ডে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
এ সময় তালতলী উপজেলার মৎস্য আড়তদাররা সরকারি বিধি অনুযায়ী বৈধ কাগজপত্র নিয়ে আহরিত ইলিশ মাছ ছোট টলি (ট্রাক) দিয়ে ঢাকায় চালান করছিল। পথিমধ্যে আমতলী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) তারেক হাসান মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তাদের ব্যতিরেখে তিনি অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় পায়রা নদীর বৈধ ইলিশ মাছ ৮০ কেজি জব্দ করে। পরে জব্দকৃত মাছের সামান্য একটি অংশ লোক দেখানো ভাবে বিতরণ করে বাকি মাছ আত্মসাত করে। এসময় আড়তদাররা উপস্থিত হলে কিছু দুষ্কৃতিকারীরা সহকারী কমিশনারের পক্ষ নিয়ে আড়তদার জসিমউদ্দিনের উপর হামলা চালায় ও পকেট থেকে ২০ হাজার টাকা ও একটি স্মার্ট মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়।
মৎস্য আড়তদার জসিম উদ্দিন বলেন, গাড়ী থেকে পায়রা নদীর আহরণকৃত বড় সাইজের ইলিশ মাছ জব্দ করা হয়েছে। খবর পেয়ে আমি উপস্থিত হলে আমাকে মারধর করে এবং আমার পকেটে থাকা নগদ ২০ হাজার টাকা ও ২৫ হাজার টাকা দামের স্মার্ট মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। আমি এদের কাউকে চিনি না।
তালতলী জেলে শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সেলিম মাতুব্বর বলেন, পয়রা নদী থেকে আহরণকৃত বড় সাইজের ইলিশ মাছ জব্দ করে তা আত্মসাত করেছে। কিভাবে আমার বৈধ ইলিশ মাছ জব্দ করল এটা আমার বোধগম্য নয়। আমাদের অন্যায়ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করলো আমরা এর বিচার চাই।
আমতলী উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা তন্ময় কুমার দাশ বলেন, উপজেলা ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তারেক হাসান উপস্থিত থেকে মাছ ৩৭ টি এতিম খানার বিতরন করেছেন। এখানো কোন ধরনের অনিয়মের অভিযোগ আনার সুযোগ নেই।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও আমতলী উপজেলা সহকারী কমিশনা(ভূমি) তারেক হাসান বলেন, আইনানুসারে অভিযান চালানো হয়েছে। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ মিথ্যা। যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া মেনেই মিজান ও ইসলাম নামের দুটি পরিবহন গাড়ীর সুপারভাইজারের স্বীকারোক্তি মতে তিন হাজার টাকা করে ছয় হাজার টাকা অর্থদন্ড করা হয়েছে। সাগরের মাছ জব্দ করা হয়েছে এবং নদীর মাছ গাড়ীতে রেখে দেয়া হয়েছে। জব্দকৃত সাগরের মাছ ৩৭ টি এতিম খানার বিতরণ করে দিয়েছি।
বরগুনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সফিউল আলম বলেন,বরগুনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সফিউল আলম বলেন, একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি ।তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আমতলীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বলা হয়েছে। তবে এখন সাগরে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা চলে এখন মাছ শিকার করা অপরাধ।