পুকুর ইজারা: বিএনপি’র দুই গ্রুপের মাঝে উত্তেজনা

কে এম রেজা; পুঠিয়া, রাজশাহী | প্রকাশ: ১৬ মে, ২০২৫, ১২:২০ পিএম
পুকুর ইজারা:  বিএনপি’র দুই গ্রুপের মাঝে উত্তেজনা
রাজশাহীর পুঠিয়ায় পুকুর ইজারা দেওয়া-নেওয়াকে কেন্দ্র করে বুধবার বিকেলে বিএনপি’র দুই গ্রুপের মাঝে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। এতে ৩ জন আহত হয়েছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে পরে সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ হতে জানা গেছে, ১৪ মে বুধবার বিকেলে উপজেলার ১৩টি অর্পিত সম্পত্তির পুকুর ইজারা দেওয়ার দিন ধার্য ছিল। উপজেলা সদরের পুঠিয়া মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের নিকটে থাকা জমিদার অশ্বনী বাবুর অর্পিত সম্পত্তিতে কয়েকটি পুকুর রয়েছে। এর একটি বড় পুকুর ইজারা দেওয়া-নেওয়াকে কেন্দ্র করে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলা বিএনপির নেতা এবং সাবেক পৌর মেয়র আল মামুম খানের লোকজন এবং রাজশাহী জেলা যুবদলের যুগ্ন আহবায়ক ফারুক রায়হানের লোকজনের মাঝে সংঘর্ষ হয়। এতে আহত হয়েছে বাপ্পি, দদন ও রানা। এদের ভিতরে গুরুতর আহত হয়েছে রানা (২৪)। তার পেটের পাশে ৮টি সেলাই দেওয়া হয়েছে। সে বর্তমানে পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। রানা এই প্রতিবেদককে ভিড়িওতে বলেন, আমাকে ফারুকের ভাই ভুট্টু ছুড়ি চাকু দিয়ে আঘাত করেছে। তার নিকটে থাকা ছুড়ি অনেকেই দেখেছেন। অপরদিকে রানাকে আঘাত করাকে কেন্দ্র করে রাত ৯টা ২০মিনিটের দিকে পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডে থাকা বিএনপি’র অফিস এসে দুইটি মটরবাইকে আগুন ও অফিস ভাঙচুর করেছে বলে ফারুক রায়হানের ভাতিজা রুবেল আল মামুনকে সন্ত্রাসী বাহিনী বলে উদ্দেশ্য করে সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন রকম অভিযোগ তুলেছেন। রাজশাহী জেলা যুবদলের যুগ্ন আহবায়ক ফারুক রায়হান বলেন,উপজেলায় মারামারির সময় আমার ভাই ভুট্টু ছুড়ি মারার যে অভিযোগ উঠেছে তা সম্পন্ন মিথ্যা এবং বানোয়াট। সংঘর্ষ চলার সময়ে আমরা দুইজন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কক্ষে ছিলাম। ছুড়ি আঘাতের বিষয়কি সম্পন্ন প্রশ্নবিদ্ধ এবং সন্দেহজনক। এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির নেতা এবং সাবেক পৌর মেয়র আল মামুম খান বলেন, আমি একমাত্র ব্যক্তি দলের দূর দিনে ফ্যাসিবাদের সাড়ে ১৫ বছর ধরে জেল জুলুম সহ্য করে পুঠিয়ার বিএনপির নেতাকর্মীদের সংগঠিত করে রেখেছি। আমি কয়েকদিন ধরে অসুস্থ হয়ে বাড়িতে রয়েছি। পুকুর নিয়ে মারামারির ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। তারপরও আমাকে একটি স্বার্থান্বেষী মহল দোষারোপ করে আসছেন। এরা ৫ আগষ্টের পর হঠাৎ বিএনপির কিছু চিহ্নিত মাদক বিক্রেতা নেতাকর্মী মিলে এলাকা সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করার চেষ্টা করছে। যা আমি বাধা দেওয়ায় আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন রকম অপপ্রচার চালাচ্ছেন। এ ব্যাপারে থানা ওসি কবির হোসেন এফএনএসকে বলেন, আপাতত এলাকা পরিস্থিতি শান্ত রয়েছেন। মারামারির ব্যাপারে কোনো পক্ষই থানায় এখনো পর্যন্ত অভিযোগ দেয়নি।
আপনার জেলার সংবাদ পড়তে