রাজশাহীর বাঘায় গোয়ালঘরে আগুনে পুড়ে তিনটি গরুর মৃত্যু হয়েছে। এ সময় পুড়ে ছাই হয়েছে তিনটি পরিবারের ৭টি ঘর। বৃহস্পতিবার (১৫ মে) রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার পাকুড়িয়া ইউনিয়নের মালিয়ানদহ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এরপর থেকে খোলা আকাশের নিচে ৩টি পরিবার বসবাস করছেন। জানা গেছে, উপজেলা পাকুড়িয়া ইউনিয়নের মালিয়ানদহ গ্রামে মৃত আনসার প্রামানিকের ছেলে শামিন আলী সন্ধ্যার দিকে গোয়ালঘরে মশা তাড়ানোর জন্য নন্দা জ্বালিায়ে দেন। এ থেকে গরুর ঘরে আগুন ধরে যায়। এতে তিনটি গরু পুড়ে মৃত্যু হয়েছে। মুহূতের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রন করতে করতে পাশের বাড়ি মৃত সোলেমান হোসেনের ছেলে ছানারুল ইসলাম ও কামাল হোসেনের ছেলে সুজন আলীর বাড়িতে আগুন ধরে যায়। এতে তাদের বাড়ির সমস্ত আসবাবপত্র ও মালামাল পুড়ে গেছে। তার ৫ম শ্রেনিতে পড়–য়া ছেলে জোতকাতির সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র শামিউল ইসলামের বই পুড়ে যাওয়ার পর থেকে তার কান্না থামছেন। এ বিষয়ে শামিন আলী বলেন, গরুর ঘরে মশা তাড়ানোর জন্য নন্দা জ্বালিয়ে রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ি। রাত সাড়ে ১২টার দিকে গোয়ালঘর ও পরে বাড়িতে আগুন ধরে তিনটি গরুসহ সাড়ে ৫ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে ক্ষতি হয়েছে। তবে স্থানীয়ভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ বিষয়ে আরেক পাশের বাড়ির মালিক ছানারুল ইসলামর বলেন, বাড়িতে ছিলাম না। আড়ানীর এক আতœীয় বাড়িতে গিয়ে রাত হয়ে যাওয়ায় আসতে পারি নাই। রাত সাড়ে ১২টার দিকে খবর পেয়ে ওই রাতে বাড়িতে এসে দেখি দুটি ঘরের সমস্ত মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ছেলের বই পুড়ে যাওয়ার পর থেকে তার কান্না থামছেনা। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাম্মী আক্তার শুক্রবার সকাল ১১ টার দিকে পুড়ে যাওয়া বাড়ি পরিদর্শন করেন এবং ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকে শুকনো খাবার দেন। বাঘা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মিজানুর রহমান বলেন, অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে সাথে সাথে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট দল ঘটনাস্থলে গিয়ে এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। আগুন নিয়ন্ত্রন করতে করতে পুড়ে তিনটি বাড়ির প্রায় ২০ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে।