পাবনার চাটমোহর উপজেলার বিলচলন ইউনিয়নের নটাবাড়িয়া বাজারে সরকারি জায়গার উপর নির্মিত গণশৌচাগার ভেঙে সেটি দখলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কৃষকদলের দুই নেতার বিরুদ্ধে। এ নিয়ে এলাকাবাসী ও দুই পক্ষের মধ্যে দেখা দিয়েছে দ্বন্দ্ব।
অভিযোগে জানা গেছে,উপজেলার বিলচলন ইউনিয়নের নটাবারিয়া বাজারে সরকারি জায়গার উপরে ২০১০ সালে নির্মাণ করা হয় একটি গণশৌচাগার। যা বাজারের ব্যবসায়ীরা ব্যবহার করতো। তবে গত কয়েক বছর ধরে গণশৌচাগারটি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ে।
গত ১২ মে গণশৌচাগারটি ভেঙে ফেলেন বিলচলন ইউনিয়ন কৃষকদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মমিন ও এক নম্বর ওয়ার্ড কৃষকদলের সভাপতি মনিরুল। এ নিয়ে স্থানীয় এলাকাবাসী ও বিএনপি'র দুই পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব ও উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেন,গণশৌচাগার ভেঙে ফেলার জায়গা দখল ও ঘর নির্মাণ করে বিক্রি করার অপচেষ্টা করছে কৃষকদল নেতা মমিন ও মনিরুল।
নটাবাড়িয়া বাজারের ব্যবসায়ী রায়হান আলী ও বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর আলম বলেন,এই গণশৌচাগারটি ২০১০ সালে নির্মাণের পর থেকে এলাকার মানুষের অনেক উপকার হতো। কিন্তু গত সোমবার হঠাৎ করেই কৃষকদল নেতা মোমিন ও মনিরুল গং ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে এটি ভেঙে ফেলে জায়গা অবৈধ দখলে নিয়েছে। তাদেরকে বাধা দিলেও তারা শোনেনি। আমরা জানতে পারছি এই জায়গায় তারা ঘর নির্মাণ করে বিক্রি করে টাকা নিবেন।
১ নম্বর ওয়ার্ড কৃষকদলের সভাপতি মনিরুল ইসলাম বলেছেন,আমরা নটাবাড়িয়া বাজার উপজেলা থেকে ইজারা নিয়েছি। বাজারের এই গণশৌচাগারটি কয়েক বছর ধরে অকেজ অবস্থায় পড়ে আছে। সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীদের কথা চিন্তা করে গণশৌচাগারটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। এখানে নতুন করে গণশৌচাগার নির্মাণ করব আমরা। জায়গা দখলের অভিযোগ ভিত্তিহীন। সরকারী স্থাপনা বিনা অনুমতিতে ভাঙা যায় কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে ইতিপূর্বে বিষয়টি আমি অবগত করেছি। এছাড়া হাট যেহেতু তো আমি ইজারা নিয়েছি তাই হাটের উন্নয়নে আমাকে কাজ করতে হবে। তিনি আরো জানান,আমি ব্যক্তিগত খরচাই এই শৌচাগার তৈরি করে দিব।
চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুসা নাসের চৌধুরী জানান,গনশৌচাগার ভাঙার ব্যাপারে কোন ব্যক্তি আমাকে কিছু জানায়নি। যদি তিনি হাট ইজারাদার হয়ে থাকেন তবে অবশ্যই তাকে শাস্তির আওতায় আনা হবে।