ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে জানালেন ইউএনও

আগৈলঝাড়ায় ভূয়া সনদ দিয়ে বিদ্যালয় সভাপতি হওয়ার অভিযোগ

এফএনএস (এস এম ওমর আলী সানি; আগৈলঝাড়া, বরিশাল) : | প্রকাশ: ১৭ মে, ২০২৫, ০৬:২২ পিএম
আগৈলঝাড়ায় ভূয়া সনদ দিয়ে বিদ্যালয় সভাপতি হওয়ার অভিযোগ

মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি হতে হলে তাকে  স্নাতক (ডিগ্রী) পাস হতে হবে এমন নিতিমালা রয়েছে সরকারের।বরিশাল শিক্ষাবোর্ড শিক্ষা সনদ যাচাইবাছাই না করে মেহেদী হাসান সুমন নামের একজনকে মোল্লাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচিত করে নুমোদন দিয়েছে। সভাপতি পদপাবার জন্য ভূয়া ডিগ্রী পাসের সনদ দিয়ে স্থানীয় প্রভাব খাটিয়ে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির পদ বাগিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বরিশাল জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলার মোল্লাপাড়া উ” বিদ্যালয়ের সভাপতির বিরুদ্ধে। 

স্থানীয় বিলম্ব তথ্য সূত্রে শনিবার ১৭ মে দুপুরে জান গেছে, আগৈলঝাড়া উপজেলার মোল্লাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি পদের জন্য আবেদন করেন স্থানীয় মেহেদী হাসান সুমন, রমনি রঞ্জন সরকার, শিরিন সুলতানা, তুহিন হাওলাদার ও রনি সরকার। সভাপতি পদের জন্য পাঁচজন প্রার্থী আবেদন করেছিলেন। তবে স্থানীয়ভাবে সুমন প্রভাবশালী হওয়ার কারনে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক একই পরিবারের মেহেদী হাসান সুমন, ‘তার ভাতিজা তুহিন হাওলাদার ও বোন শিরিন  সুলতানার নাম সভাপতির পদে প্রস্তাব করেন। অপর দুই প্রার্থী রমনি রঞ্জন সরকার ও রনি সরকারের নাম বাদদেয়া হয়েছে ওই তালিকা থেকে। 

রমনি রঞ্জন সরকার ও রনি সরকার সহ স্থানীয় একাধীক ব্যক্তি অভিযোগ করেন, মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি হতে হলে তাকে স্নাতক (ডিগ্রী) পাস হতে হবে এমন নিতিমালা রয়েছে সরকারের। আমরা সরকারের নিতিমাল মোতাবেক সকল কাগজপত্র জমা দিয়ে থাকি। আমাদের বাদ দিয়ে  মেহেদী হাসান সুমনকে সভাপতি পদে নির্বাচিত করে। আমরা পরে জানতেপারি যাকে সভাপতি  নির্বাচিত করা হয়েছে তার ডিগ্রী পাসের শিক্ষাগত সনদ ভূয়া। তার শিক্ষাগত সনদ খানা যাচাইবাছাই করে তার  বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের প্রতি দাবি করেছেন।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রঞ্জন অধিকারী বলেন, আমরা সভাপতিপদে ৫টি আবেদন পাই। ওই আবেদন যাচাইবাছাই করে সভাপতি পদে তিন জনের নামের তালিকার করি। তার হলেন মেহেদী হাসান সুমন, রমনি রঞ্জন সরকার ও রনি সরকার। পরবর্তিতে স্থানীয় প্রভাবশালী  রুবেল হাওলাদার, লোকমান হাওলাদার ও চুন্নু হাওলাদার তারা একটি তালিকার লিখে নিয়ে আসেন। ওই তালিকা হলো মেহেদী হাসান সুমন, তুহিন হাওলাদার ও শিরিন সারমিন। আমি  তাদের চাপে নিরুপায় হয়ে তাদের লেখা নামের তালিকা উপজেলা নির্বাহী অফিসারে কাছে পাঠাতে বাধ্য হয়েছি । সনদ ভূয়া কিনা তা আমি যাচাইবাছাই করতে পানিনা। এটা শিক্ষাবোর্ড ও ইউএনও স্যার করতে পারেন। গত ৭ মে বরিশাল শিক্ষাবোর্ড থেকে মেহেদী হাসান সুমনকে মোল্লাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচিত করে কমিটির অনুমোদন দিয়েছে। সভাপতি হতে হলে ডিগ্রী পাশ বাধ্যতামূলক। 

এব্যাপারে অভিযুক্ত মোল্লাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির নবনির্বাচিত সভাপতি মেহেদী হাসান সুমন সাংবাদিকদের বলেন, আমি সরকারি বাংলা কলেজ, ঢাকা থেকে ২০১০ সালে সমাজ বিজ্ঞান বিভাগে পাস করেছি। আমার সনদ সঠিক রয়েছে। 

এ ব্যাপারে বরিশাল শিক্ষাবোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক মো.রফিকুল ইসলাম খান হেলাল বলেন,ভূয়া সনদ ব্যবহার করে সভাপতি হওয়ার কোন সুযোগ নাই। এ বিষয়ে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করব। 

আগৈলঝাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারিহা তানজিন বলেন, বিষয়টি আমি জানার পর মেহেদী হাসান সুমন সাহেবকে তার শিক্ষাগত সনদের মূল কপি নিয়ে আসতে বলেছি কিন্তু তিনি আসেনি।  তিনি এক সপ্তাহের ভিতরে না আসলে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আমি বিষয়টি শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যানকে জানিয়েছি।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে