মিয়ানমারে সার পাচারের চেষ্টা, ৩৪০ বস্তা জব্দ

এফএনএস (মোঃ আবদুল ওয়াদুদ; চট্টগ্রাম) : | প্রকাশ: ১৭ মে, ২০২৫, ০৬:৫০ পিএম
মিয়ানমারে সার পাচারের চেষ্টা, ৩৪০ বস্তা জব্দ

বঙ্গোপসাগরে একটি কাঠের ট্রলারে তল্লাশি করে আবারো  ৩৪০ বস্তা ইউরিয়া সার উদ্ধার করেছে নৌ পুলিশ। এসব সারের ওজন প্রায় ১৭ মেট্রিক টন। চট্টগ্রাম থেকে মিয়ানমারে পাচারের জন্য এসব সার ট্রলারে মজুদ করা হয়েছিল বলে জানাগেছে। গত ১৪ মে শহরের  পাহাড়তলীর রাসমণিঘাট (খেজুরতলা) সংলগ্ন সাগর থেকে ওই ট্রলারটি আটক করা হলেও শুক্রবার রাতে পাহাড়তলী থানায় নৌ পুলিশের পক্ষ থেকে এই ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এরপর গণমাধ্যমে বিষয়টি জানাজানি হয়। এতে ট্রলার মালিক আব্দুল করিম ও মাস্টার জসিম উদ্দিনকেও আসামি করা হয়। উল্লেখ্য, গত ৮ মে রাতে সেন্টমার্টিনের ছেঁড়াদ্বীপ থেকে চার নটিক্যাল মাইল দক্ষিণে অভিযান চালিয়ে মিয়ানমারে পাচারের সময় ৭৪২ বস্তা ইউরিয়াসহ একটি নৌকা জব্দ করে কোস্ট গার্ড। একইসঙ্গে আটক করা হয় ১১ পাচারকারীকেও। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে কয়েকজন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দাও ছিলেন।

অপরদিকে নৌ পুলিশের চট্টগ্রামের কুমিরা ফাঁড়ির পরিদর্শক মোহাম্মদ ওয়ালী উদ্দিন আকবর সাংবাদিকদের  জানান, এফভি আবদুর রহমান-১ নামে ট্রলারটি বঙ্গোপসাগরের তীরবর্তী খেজুরতলা এলাকায় অপেক্ষ করছিল। সেখানে অভিযান চালিয়ে ট্রলার আটকে ৩৪০ বস্তা সার জব্দ করা হয়। প্রতি বস্তায় ৫০ কেজি করে মোট ১৭ হাজার কেজি সার পাওয়া গেছে। তিনি আরো জানান, ট্রলারের কাঠের পাটাতনের নিচে মাছ সংরক্ষণের জন্য বানানো ঘরে সারের বস্তাগুলো রাখা হয়েছিল। অভিযানের সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ট্রলারে থাকা লোকজন পালিয়ে যায়। সারগুলো চট্টগ্রামের কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানিতে (কাফকো) উৎপাদিত। কৃষকদের কাছে ভর্তুকিমূল্যে বিক্রির বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন (বিসিআইসি) সেগুলো কাফকো থেকে কিনেছিল। প্রথমে বিসিআইসি তাদের নিয়োজিত ঠিকাদারের মাধ্যমে কারখানা থেকে সারগুলো তাদের বাফার গুদামে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাদের নিয়োজিত ডিলারের কাছে সরবরাহ করা হয়। ট্রলারের মালিকসহ একটি সংঘবদ্ধ চক্র বিসিআইসির ঠিকাদার বা অন্য কোনো উৎস থেকে সারগুলো সংগ্রহ করে মিয়ানমারে পাচারের জন্য মজুদ করেছিল বলে ও নৌ-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে