ফ্যাসিস্ট মাফিয়া সরকার নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে: তুহিন

এফএনএস (আব্দুর রাজ্জাক, নীলফামারী) : | প্রকাশ: ১৭ মে, ২০২৫, ০৭:৫৩ পিএম
ফ্যাসিস্ট মাফিয়া সরকার নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে: তুহিন

বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার ভাগ্নে ও তারেক রহমানের খালাতো ভাই ও নীলফামারী জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এবং সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য প্রকৌশলী শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিন বলেছেন, গত আঠারো বছর যাবৎ এই ফ্যাসিস্ট মাফিয়া সরকার অপচয় করেছে। তারা হত্যার মাধ্যমে জীবনের অপচয় করেছে, তারা ধ্বংস করেছে দেশের অর্থনীতিকে। লুটপাট করে নিয়ে গেছে তারা। ধ্বংস করেছে এদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। তারা নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে, তারা আইন-আদালত ধ্বংস করেছে। এমন কোন সেক্টর নেই তারা ধ্বংস করে নাই।

তিনি আজ শনিবার বিকালে দীর্ঘ ১৮ বছর পর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ও নিজ উপজেলায় আগমন উপলক্ষে নীলফামারীর ডোমার উপজেলা বিএনপির আয়োজনে ডোমার হাই স্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত গণ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। নিজ জেলা নীলফামারী ও নিজ উপজেলা ডোমারে হাজার হাজার মানুষ তার এ সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। 

তিনি বলেন, আজকে সংস্কারের আওয়াজ উঠেছে। কিন্তু মনে রাখতে হবে ভাই বোনেরা এই সংস্কারের বিষয়ে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান অনেক আগেই ৩১ দফার একটি সংস্কারের প্রস্তাব আপনাদের সামনে তুলে ধরেছেন। আমাদের বিএনপির চেয়ারম্যান আপনাদের সামনে সংস্কারের প্রস্তাব দিয়ে রেখেছে। আমরা চাই যে, এই সরকারকে আমরা যেভাবে সহযোগীতা করছি সেই সহযোগিতা দেশের আপামর জনগণও করছে। বিএনপির এই সংস্কারের প্রস্তাবকে সঙ্গে নিয়ে আরও অন্যান্য দলের যে সংস্কার আছে, সেগুলোকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সংক্ষিপ্ত করে দেশকে একটি গণতান্ত্রিক পন্থায় ফিরিয়ে নিয়ে আসতে হবে।

নির্বাচনের ব্যাপারে সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, এই সরকার বলে সংস্কার করছে। এই সরকার নাকি বৈষম্য দূর করছে। আমি তো নিজেই সরকারের বৈষম্যের শিকার। কিন্তু বৈষম্য তারা দূর করতে এখনো পারেনি। আমরা আশা করব যে সরকার আরো সিরিয়াস হবে বৈষম্য দূর করার ব্যাপারে। আমরা চাই গণতান্ত্রিক উপায়ে সকলকে নিয়ে  জনগনের সকলের আকাঙ্ক্ষা যাতে প্রতিষ্ঠিত হয়।

কোন দলের নাম উল্লেখ না করে নিষিদ্ধ ঘোষিত একটি দলের ইঙ্গিত দিয়ে তিনি বলেন, একটা দল আপনারা জানেন খুব অল্প দিন আগে তাদেও সকল কার্যক্রমকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যতদিন পর্যন্ত বিচার শেষ না হয়। দলের অনেক নেতাকর্মী আছেন, অনেক সমর্থক আছে যারা হয়তো বা খারাপ না। তাদের নেতা কর্মী, তাদের সর্বোচ্চ লেভেলের যারা নেতা কর্মী ছিলেন তাদের খারাপ কর্মকান্ডের জন্য আজকে তারাও এই রাজনৈতিক কর্মকান্ড থেকে নিষিদ্ধ হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে আর কোন দল এরকম নিষিদ্ধ হোক এটা আমরা গণতান্ত্রিক ভাবে চাই না। আমরা চাই যে একটা গণতান্ত্রিক চর্চা, মানুষের অধিকার তারা প্র্যাকটিস করুক।

রংপুর বিভাগ অবহেলিত উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই নীলফামারী ও রংপুরের মাটিতে আমরা আর অবহেলিত থাকতে চাই না। নীলফামারী রংপুর অঞ্চলের মানুষ আমরা বহুদিন ধরে পিছিয়ে আছি। আমাদের দুর্ভাগ্য যে ওই নোয়াখালী, কুমিল্লা, ঢাকার মানুষরা উন্নত হয়। তাদের বাচ্চারা দেখা যায় যে বড় হয়ে বড় বড় চাকরি পায় আর আমাদের বাচ্চারা এখানে পড়ে থাকে। আমাদের এখানে বড় বড় হাসপাতাল নাই কেন। বিশ্ববিদ্যালয় নাই কেন। বাংলাদেশের বেশিরভাগ জেলায় এখন বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয় আছে। আমাদের কি অধিকার নাই। এটা আদায় করতে হলে আমাদেরকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

গণ-সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ডোমার উপজেলা বিএনপির সভাপতি রেয়াজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপি’র সভাপতি আ.খ.ম আলমগীর সরকার, বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক, আমিনুল ইসলাম, ডোমার উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক আখতারুজ্জামান, পৌর বিএনপির সভাপতি আনিছুর রহমান, সাধারন সম্পাদক মোজাফ্ফর আলী, বিএনপি নেতা মনছুরুল ইসলাম দানু, আবু সাদেক চৌধুরী লুলু প্রমুখ। অনুষ্ঠানে উপজেলা বিএনপির প্রতিটি ইউনিটের সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিনকে ফুল ও সম্মাননা স্বারক দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। এর আগে দুপুরে জেলা বিএনপি জেলা শহরে তুহিন কে গন সম্বর্ধনা প্রদান করেন।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে