নীলফামারীর সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার ফাউন্ড্রী সপে হঠাৎ করে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ২০ মে সকালে ওই সপের একটি মেশিনে আগুন লেগে যায়। দ্রুত সময়ে সৈয়দপুর ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট সেখানে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
কিভাবে রেলওয়ে কারখানার ওই সপে আগুন লাগলো তা রহস্যজনক। তবে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সুত্রপাত হতে পারে বলে জানালেন কারখানার ডাব্লিউ এম।
সৈয়দপুর ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা জানান, কত টাকা ক্ষতি হয়েছে তা এখনো জানা সম্ভব হয়নি। ওই মেশিনের দাম কত তা জানানো হয়নি কারখানার পক্ষ থেকে। একটি সুত্র জানায়,অগ্নিকান্ডের সময় ওই সপের ইনচার্জ ছিলেন অনুপস্থিত। তিনি কোথায় ছিলেন তা জানা যায়নি।
সৈয়দপুরে দেশের বৃহত্তর রেলওয়ে কারখানা। ১৮৭০ সালে এ রেলওয়ে কারখানাটি স্থাপিত হয়। বর্তমানে এ কারখানাটিতে করুণ এক অবস্থা বিরাজ করছে। ২৯টি সপের মধ্যে চালু আছে মাত্র কয়েকটি সপ। একদিকে লোকবল সংকট অন্যদিকে চুরি। দুদিক থেকে মহাসংকটে কারখানাটি।
যৎ সামান্য লোকবল দিয়ে অনেকটা জোড়াতালি বলা চলে কাজ চলমান।
যে কারখানা ছিল হাজারো শ্রমিকের পদভারে মুখরিত আজ সেটি পরিনত হয়েছে ভুতুরে অবস্থা। সন্ধ্যা হলেই কারখানায় শোনা যায় শুধু শেয়ালের ডাক।
কাজ নেই কারখানার অনেক সপে। বলা যায় অলস সময় পার ও খোশগল্প করে সময় অতিবাহিত হয় কোন কোন সপের কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের। অথচ মাস শেষে ঠিকই সরকারি অর্থ চলে যায় তাদের ব্যাংক এ্যাকাউন্টে। এটি তদন্ত পুর্বক ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন বলে অনেকের মন্তব্য।
এ ব্যাপারে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার বিভাগীয় তত্তাবধায়ক শাহ সুফী নুর মোহাম্মদকে মোবাইল করলে তিনি রিসিপ না করায় মন্তব্য জানা যায়নি।