আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা ও কোরবানিকে সামনে রেখে সারাদেশে চলছে কোরবানির পশু বিক্রির প্রস্তুতি। শেরপুর জেলায় এ বছর চাহিদার চেয়ে ২৪ হাজার ৫২৩ টি কোরবানির পশু বেশি রয়েছে।
জেলা প্রাণী সম্পদ কার্যালয় সূত্র জানায়, জেলার পাঁচটি উপজেলায় ছোট-বড় প্রায় ১৩ থেকে ১৪ হাজার খামারি রয়েছেন। অনেক পরিবার ও ব্যক্তি উদ্যোগে গরু-মহিষ ও ছাগল-ভেড়া পালন করেন।
শেরপুর জেলার ৫ উপজেলায় কোরবানির জন্য প্রায় ৮৫ হাজার ৭৬৩ টি গবাদি পশু প্রস্তুত রয়েছে। এরমধ্যে স্থানীয় চাহিদা ৬১ হাজার ২৪০ টি। ফলে স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ২৪ হাজার ৫২৩ টি কোরবানির পশু উদ্বৃত্ত থাকবে। কোরবানির জন্য মোট গরুও মহিষ রয়েছে ৫৫ হাজার ২৪৫ টি এবং ছাগল ও ভেড়া রয়েছে ৩০ হাজার ৫১৮ টি।
জেলায় ২৪টি অনুমোদিত হাটে থাকবে ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম। হেলথ সার্টিফিকেট যাচাই, দ্রুত সেবা প্রদানে হটলাইন ও কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়েছে। অনলাইন হাট ব্যবস্থার বিকল্পও রাখা হয়েছে এবং পশু বিক্রিতে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারকে উৎসাহিত করা হচ্ছে। প্রতিটি উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসে ‘ডিজিটাল তথ্য সহায়তা ডেস্ক’ চালু করা হয়েছে। কৃত্রিম উপায়ে মোটাতাজাকরণ রোধে নিয়মিত মনিটরিং টিম গঠন করা হয়েছে। প্রতিটি উপজেলায় ভেটেরিনারি টিমের মাধ্যমে সচেতনতামূলক কার্যক্রম ও নজরদারি চালানো হচ্ছে। কৃত্রিম উপাদান প্রয়োগের অভিযোগ পেলে তাৎক্ষণিকভাবে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।
শেরপুর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রেজওয়ানুল হক ভূঁইয়া বলেন, জেলায় এবারের কোরবানির পশুর কোনো ঘাটতি নেই। কোরবানির পশুকে অসদুপায়ে মোটাতাজা না করতে আমরা বিভিন্ন এলাকায় সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন করেছি। পাশাপাশি ভেটেরিনারি ফার্মেসিগুলোতে নিম্নমানের ওষুধ সামগ্রী না রাখার বিষয়টি তদারকি করা হচ্ছে। কয়েক দফায় গো-খাদ্যের দাম বাড়ায় উৎপাদন খরচ কিছুটা বেড়েছে। তবে আমরা সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি যাতে জেলার জনগণ স্বাস্থ্যসম্মত ও নিরাপদভাবে কোরবানি সম্পন্ন করতে পারে।