রাজশাহীর বাঘায় সড়কে বিঘ্ন সৃষ্টির প্রতিবাদে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২০ মে) শিক্ষার্থী ও সর্বস্তরের জনসাধারনের ব্যানারে এই অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়। সোমবার (১৯ মে) যাত্রীবাহী বাস-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের একজন নিহত ও দুইজন আহতের ঘটনায় জনসচেতনতা মূলক কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থী ও সর্বস্তরের জনসাধারন।
আয়োজিত কর্মসূচিতে অংশ নেন বাঘা ব্লাড ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মাসুদ হাসান, শাহদৌলা সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী আতিকুর রহমান প্রান্ত, কামরুজ্জামান কিশোর, সিরাজুম মনিরা, মাহিম হাসান নূর প্রমুখ।
এ বিষয়ে বাঘা ব্লাড ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মাসুদ হাসান বলেন, রাস্তার উপরে অবৈধ দোকানের মালামাল, নির্মাণ সামগ্রী রেখে জনসাধারনের চলাচল বিঘ্নন সৃষ্টি করা হচ্ছে। এতে দূর্ঘটনায় অনেকের মৃত্যু হচ্ছে। এর প্রতিবাদে অবস্থান কর্মসূচী পালন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, সোমবার (১৯ মে) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মোটরসাইকেলে জাহেদুল ইসলাম শান্ত (৩০) তার স্ত্রী জেসমিন আক্তারকে (২৭) সাথে নিয়ে মেয়ে উম্মে তুরাইশার (৫) স্কুলে যাচ্ছিলেন। তারা বাঘা-ঈশর্দী মহাসড়কের বাঘা পৌরসভার বানিয়াপাড়া নামকস্থানে পৌঁছলে বাঘা থেকে ছেড়ে যাওয়া ঢাকাগামী সুপার সনি নামের একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এ সময় বাবা-মেয়ে বাসের নিচে চাপা পড়ে। এতে বাবা ও মেয়ের শরীর থেকে পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
এ ঘটনায় শান্তর স্ত্রী আহত হন। বাবা-মেয়ে ও স্ত্রীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জাহেদুল ইসলাম শান্ত বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে মৃত্যু হয়। সকালে বেড়িলাবাড়ি ঈদগা মাঠে জানাজা নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। নিহত জাহেদুল ইসলাম শান্ত লালপুর উপজেলার বেড়িলাবাড়ি গ্রামের জামতলা গ্রামের এজাহার আলীর ছেলে।