অভয়নগরে কৃষক দল সভাপতি হত্যাকাণ্ডে আটক ২

এফএনএস (মল্লিক খলিলুর রহমান; অভয়নগর, যশোর) : | প্রকাশ: ২৩ মে, ২০২৫, ০৬:৪৯ পিএম
অভয়নগরে কৃষক দল সভাপতি হত্যাকাণ্ডে আটক ২

যশোরের অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া পৌর কৃষকদলের সভাপতি এস এম তরিকুল ইসলাম হত্যার ঘটনায় দুই যুবককে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ মে) গভীর রাতে উপজেলার সুন্দলী ইউনিয়নের ডগরমশিয়াহাটী গ্রাম থেকে তাদের থানা হেফাজতে নেওয়া হয়। শুক্রবার (২৩ মে) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন অভয়নগর থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) মো. আব্দুল আলীম।

শুক্রবার দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে নিহতর তরিকুল ইসলামের লাশ ধোপাদী গ্রামে নিজ বাড়ীতে নিয়ে আসে। এলাকায় তখন শোকের ছায়া নেমে আসে। স্বজনের আহাজারিতে আকাশ বাতাস ভাড়ী হয়ে ওঠে। হাজার হাজার মানুষ নিহত তরিকুলের নিথর দেহ এক নজর দেখতে ভির জমায়। পরে সাড়ে ৫টায় আসরের নামাজ শেষে ধোপাদি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় যশোর জেলা বিএনপি’র সভাপতি এ্যাড. সাবুরুল ইসলাম সাবু, সাধারন সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন সহ যশোর জেলা বিএনপি’র একাধিক নেতারা ও অভয়নগর থানা ও পৌর বিএনপি, বাগারপাড়া, মনিরামপুর বিএনপি’র নেতারা উপস্থিত ছিলেন। জানাযা শেষে ৬টার পরে পারিবারিক কবর স্থানে নিহত তরিকুলের দাফন সম্পূর্ন হয়। 

উল্লেখ্য বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সুন্দলী ইউনিয়নের ডহরমশিয়াহাটী গ্রামে বেড়েধা এলাকায় পিন্টু বিশ্বাসের বাড়ি থেকে কৃষক দল সভাপতি তরিকুল ইসলামের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মৎস্যঘের চুক্তি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে তাকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করে দৃর্বৃত্তরা। ঘটনার পর রাতেই বেড়েধা এলাকার ১০/১২টি বাড়ি ভাঙচুর ও আগুন ধরিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। নিহত তরিকুল ইসলাম উপজেলার ধোপাদী গ্রামের মৃত ইব্রাহিম সরদারের ছেলে।

নিহতের বড়ভাই জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল নওয়াপাড়া শিল্পাঞ্চল শাখার সাধারণ সম্পাদক এস এম রফিকুজ্জামান বলেন, ‘বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে আমার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে। মাথায় গুলি করার পর কুপিয়ে তার একটি হাত বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এরপর মাথায় ইট দিয়ে আঘাতও করা হয়েছে। নির্মম নৃশংসভাবে আমার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে। আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান তিনি।

এ বিষয় অভয়নগর থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) মো. আব্দুল আলীম বলেন,  ‘সন্দেহভাজন দুই যুবককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম পরিচয় জানানো সম্ভব হচ্ছে না। পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। ডহরমশিয়াহাটী গ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তরিকুল হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের আটকে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। মামলা প্রক্রিয়াধিন রয়েছে।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে