ডা. শফিকুর রহমান

আলাপ-আলোচনার মাধ্যমেই বর্তমান সমস্যার সমাধান সম্ভব

এফএনএস অনলাইন: | প্রকাশ: ২৪ মে, ২০২৫, ১২:৪৪ পিএম
আলাপ-আলোচনার মাধ্যমেই বর্তমান সমস্যার সমাধান সম্ভব

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় মগবাজার ফালাহ মিলনায়তন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার অধিবেশনে বললেন, 

“আমরাই তাকে এই দায়িত্ব দিয়েছি। তিনি তো জোর করে এই দায়িত্ব নেননি। আমাদের দায়িত্ব তাকে সহযোগিতা করা। সংঘাত-কাদা ছোড়াছুড়ির মধ্য দিয়ে জাতিকে আর অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দেওয়া সমীচীন হবে না। এর জন্য প্রয়োজন অর্থবহ ডায়ালগ। এটার দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে। আমরা যতটুকু সম্ভব তাকে সহযোহিতা করেছি। এই সরকার যেহেতু আমাদের সবার সরকার। আসুন আমরা এই সরকারকে সহযোগিতা করি। সরকার যদি এই সহযোগিতা গ্রহণ করে তাহলে সমস্যা সমাধান সুন্দরভাবে হবে। বর্তমানে দেশে চলমান পরিস্থিতির কিছু ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। আমরা মনে করি অর্থবহ আলাপ-আলোচনার মাধ্যমেই বর্তমান সমস্যার সন্তোষজনক সমাধানে পৌঁছানো সম্ভব।”

নির্বাচনের নিয়ে জামায়েত আমির বলেন, “সরকার পরিবর্তনের ৯ মাস পার হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, জাতীয় নির্বাচন ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে দিতে চান। আমরা তার কথায় বিশ্বাস রাখতে চাই। আমরা দুটা রোডম্যাপ চেয়েছিলাম। একটা সংস্কারের ও আরেকটি নির্বাচনের। কিন্তু কোনো রোডম্যাপ আসেনি। আমরা দাবি জানাই, রোডম্যাপ প্রকাশ করা হোক। তাহলে জনগণের আস্থা ফিরে আসবে। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য দুটি রোডম্যাপ জরুরি।”

মানবিক করিডোরের বিষয়ে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “আমরা বলেছি এর সঙ্গে জাতীয় স্বার্থ জড়িত। এটা তাড়াহুড়ো করে করা যাবে না। এখন দেশে পার্লামেন্ট নেই। সব পক্ষের সঙ্গে না বসে এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক হবে না। রাজনৈতিক দল, সিকিউরিটি এক্সপার্টের সঙ্গে আলোচনা করা উচিত। সব থেকে ভালো হয় নির্বাচিত সরকারের ওপর ছেড়ে দেওয়া।”

সেনাবাহিনীর নানা কাজের প্রশংসা করে জামায়াত আমির বলেন, কোনো কার্যক্রমের মাধ্যমে এই প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা ক্ষুণ্ন হোক তা চাই না। সেনাবাহিনীকে নিয়ে যেকোনো ধরনের মন্তব্য করা থেকেও বিরত থাকা উচিত।

আওয়ামী লীগের নানা ধরনের অন্যায়ের উদাহরণ টানার পর তিনি বলেন, ৭১ থেকে এই পর্যন্ত অনেক কিছু অর্জন করার ছিল। হয়ত অনেক প্রত্যাশা পূরণও হয়েছে। কিন্তু স্বাধীন দেশে জনগণের মূল জায়গায়গুলো ফাঁকা থেকে গেছে। দেশে অনেক কিছুই হয়নি। ২৪ এ নির্মম কায়দায় যা করা হয়েছে তার সাক্ষী বাংলাদেশসহ গোটা বিশ্ব। আগে যারা ক্ষমতায় ছিলেন তারা টানা ১৫ বছর দুঃশাসন উপহার দিয়েছেন। তাদের বিচারের কোনো প্রক্রিয়া দেখছি না। বিচার না হলে অপরাধ বৃদ্ধি পাবে। বিচারের নামে অবিচার আমরা চাই না।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে