সরাইলে

যুবদল ছাত্রদল নেতার বিরূদ্ধে বিএনপি’র সম্পাদককে মারধরের অভিযোগ

এফএনএস (মাহবুব খান বাবুল; সরাইল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া) : : | প্রকাশ: ২৪ মে, ২০২৫, ০৭:০০ পিএম
যুবদল ছাত্রদল নেতার বিরূদ্ধে বিএনপি’র সম্পাদককে মারধরের অভিযোগ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে অস্থায়ী পশুর হাট পরিচালনা কমিটির তালিকায় যুবদল নেতা তানবিরের নাম থাকায় সভাস্থলেই বাক-বিতন্ডা ও ধস্তাধস্তি। এরই জের ধরে ইউপি বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মো. এনামুল হককে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে যুবদল নেতা তানবির ছাত্রদল নেতা আলভিন ও জিদানের বিরূদ্ধে। শুক্রবার রাতে উপজেলার অরূয়াইল ও পাকশিমুল এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে। এরই জের ধরে শনিবার সকালে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে অরূয়াইল কলেজ মাঠে ও সিএনজি ষ্ট্যান্ডে অবস্থান নিয়েছিল একদল গ্রামবাসী। পুলিশের হস্তক্ষেপে সেই উত্তেজনা প্রশমিত হয়। হত্যার উদ্যেশ্যে তানবিরের ইন্ধনে হামলার শিকার হওয়ার কথা জানিয়ে আইনের আশ্রয় নেয়ার কথা বলছেন বিএনপি নেতা এনামুল। মারধরের ঘটনাকে মিথ্যা দাবী করে একটা ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে বলে জানান যুবদল নেতা তানবির আহমেদ শিয়ান। 

পুলিশ, স্থানীয় একাধিক সূত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, প্রতিবছরের ন্যায় এবারও অরূয়াইলের অস্থায়ী পশুর হাট ডেকে নিয়েছেন স্থানীয় আব্দুস সাত্তার ডিগ্রী কলেজ। হাট পরিচালনার জন্য অরূয়াইল পাকশিমুল ও চুন্টা ইউনিয়নের লোকজন নিয়ে শুক্রবার বিকেলে এক সভায় বসেন। পরিচালনার তালিকায় পাকশিমুল ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি সম্পাদকের নাম থাকলেও ইউপি যুবদলের সভাপতি তানবিরের নাম না থাকায় ক্ষুদ্ধ হন তিনি। সভাস্থলেই এর প্রতিবাদ করতে করতে থাকেন। সকলেই তাকে শান্ত করার চেষ্টা করেন। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে অরূয়াইল ইউনিয়ন বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মো. এনামুল হকের সাথে তানবিরের বাক-বিতন্ডা হয়। রাত সাড়ে ৮টার দিকে এনামুল সিএনজি চালিত অটোরিকশা দিয়ে জেলা শহরের উদ্যেশ্যে রওনা দেন। পাকশিমুল এলাকার একটি নীরব জায়গায় যাওয়ার পর টর্চ লাইট টিপে সিএনজিটির গতিরোধ করে ছাত্রদল নেতা আলভিন জিদানের নেতৃত্বে ১০-১২ জন লোক। তারা এলোপাতাড়ি এনামুলকে মারধর করে আহত করে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের লোকজনের মধ্যে উত্তজনা ছড়িয়ে পড়ে। গতকাল সকাল সাড়ে ৮টার দিকে এনামুলের গ্রামের লোকজন দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে অরূয়াইল সিএনজি ষ্ট্যান্ডে জড়ো হলে লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এনামুল হক বলেন, যুবদল নেতা তানবিরের ইন্ধনে ছাত্রদল নেতা আলভিন ও জিদানের নেতৃত্বে ১০-১২ জন যুবক মুখ বেঁধে আমার উপর হামলা চালিয়ে মারধর করেছে। আমার কাছে থাকা নৌকার ভাড়ার ৩ লাখ টাকাও তারা ছিনিয়ে নিয়েছে। কি কারণে আমাকে হত্যার উদ্যেশ্যে এভাবে মারধর করল কিছুই বুঝলাম না। আমি আইনের আশ্রয় নিব। যুবদল নেতা তানবির নিজেকে নির্দোষ দাবী করে বলেন, এনামুল আমার বড় ভাই। আমি উনাকে সম্মান করি। হামলার বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। তবে উনার সাথে একটা ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে। এটা আমি মুরব্বিদের সহায়তায় নিস্পত্তির করে ফেলব। তারা কেন ও কি কারণে হামলা করল তা জানি না। অরূয়াইলের বিটের দায়িত্বে থাকা এস আই পঙ্কজ দাস ও বিএনপি নেতা গাজী নোয়াব মিয়া বলেন, শুনেছি পশুর হাট পরিচালনা কমিটির তালিকায় নাম থাকায় যুবদল নেতা তানবির সভায় প্রতিবাদ করেছেন। সেখানে পাকশিমুল ইউপি বিএনপি’র সম্পাদক মো. মনিরূজ্জামান সামাদের সাথে বাক বিতন্ডা হয়েছে। রাতে এনামুলের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল সকালে এনামুলের লোকজন দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে অবস্থান নিয়েছিল। কোন ধরণের সংঘর্ষ হতে দেয়নি। পরে বিএনপি’র উর্দ্ধতন নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপে উভয় পক্ষকে শান্ত করা হয়েছে। মারধর বা হামলার বিষয়টি আইনি ভাবে দেখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

0 LIKE
0 LOVE
0 LOL
0 SAD
0 ANGRY
0 WOW
আপনার জেলার সংবাদ পড়তে