নীলফামারীর একটি গ্রামে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কচুরিপানার ওপর দিয়ে পায়ে হেঁটে নদী পারাপার করছেন এলাকার হাজার হাজার মানুষ। যে কোন সময় পানিতে ডুবে গিয়ে প্রানহানির ঘটনা ঘটতে পারে এমন আশংকা করা হচ্ছে। পানার ওপর দিয়ে যাতায়াতের এ দৃশ্য দেখতে প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে দল বেঁধে আসছে হাজারো নারী পুরুষ। যাতায়াতের এমন দৃশ্য দেখে দর্শনার্থীরা এটিকে আলৌকিক কোন কিছু মনে করছেন। তারা ভাবছেন কিভাবে এটি সম্ভব। অলৌকিক ঘটনাটি ঘটেছে নীলফামারী জেলা। সদরের কচুকাটা ইউনিয়নের চাড়ালকাটা নদীর কচুকাটা সেতুর উত্তর পাশে।
প্রায় ২০০ মিটার অংশ জুড়ে নদীর দুই তীরে জমাট বাঁধে কচুরিপানা। ওই অংশে নদীর গভীরতা প্রায় ১২ থেকে ১৪ ফুট। পানির স্রোত নিচ দিয়ে বহমান রয়েছে। নদী কচুরিপানার জমাট বাঁধা ওই অংশে স্থানীয় শিশু ও কিশোররা ফুটবল খেলে। ধারণা করা হচ্ছে উজানের ঢলের সঙ্গে ভেসে আসা কচুরিপানা জমাট বেঁধে সেখানে শক্তভাবে আটকে গেছে।
স্থানীয় ব্যক্তি আলম মিয়া জানান, গত এক সপ্তাহ আগে নদীর ওপরে জমাট বাঁধে কচুরিপানা। এতো শক্তভাবে জমাট বেঁধেছে যে তার ওপর দিয়ে মানুষ হেঁটে পারাপার হচ্ছেন। তবে এটি কোন স্থায়ী বা নিরাপদ সেতু নয়।
তবে হঠাৎ পানা সরে গিয়ে পা পিছলে নদীতে পরে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। এ পথে শিশু ও বৃদ্ধদের ক্ষেত্রে ঝুঁকি বেশি। পাশেই নদীর ওপর সেতু থাকলেও সেতুর ওপর দিয়ে পার না হয়ে ওই অংশ দিয়ে অনেকটা মজার ছলে পারাপার করছেন পথচারীরা।
এ দৃশ্য দেখতে আশা সদরের লক্ষীচাপ ইউনিয়নের রুবেল ইসলাম বলেন, এলাকায় খবর ছড়িয়ে পড়লে স্ত্রী, সন্তান নিয়ে দেখতে আসি। তবে এটি একটি বিরল ঘটনা। এর আগে নদীর ওপর দিয়ে হেঁটে পার হওয়া যায় এমন দৃশ্য কখনও দেখেনি। এখানে নদীর গভীরতা অনেক। সেখানে সেতু ছাড়া কচুরিপানার ওপর দিয়ে হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করছেন। তবে যে কোনো মুহূর্তে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। কচুকাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ চৌধুরী বলেন, কচুরিপানার ওপর দিয়ে নদী পার হচ্ছেন এমন ঘটনা শুনে আমি নিজেও এখানে এসেছি। এসে দেখি ছেলেরা ফুটবল খেলছে, দৌড়াদৗড়ি করছে, মানুষ হেঁটে পার হচ্ছে। ঘটনাটি দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে হাজার হাজার মানুষ আসছে। সেখানে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।