সুজানগরে ড্রাগ লাইসেন্সবিহীন ওষুধের ব্যবসা জমজমাট

এফএনএস (সুজানগর, পাবনা) : | প্রকাশ: ২৬ মে, ২০২৫, ০১:৩৮ পিএম
সুজানগরে ড্রাগ লাইসেন্সবিহীন ওষুধের ব্যবসা জমজমাট

পাবনার সুজানগরে ড্রাগ লাইসেন্সবিহীন ওষুধের ব্যবসা জমজমাট ভাবে চলছে। সেই সাথে উপজেলার অধিকাংশ গ্রামে ব্যাপক ভাবে হাতুড়ে ডাক্তারের উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে। 

উপজেলা ওষুধ ব্যবসায়ী সমিতি সূত্রে জানা যায়, সুজানগর পৌর শহরসহ উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের বিভিন্ন হাট-বাজারে কমপক্ষে ৫‘শ ওষুধের দোকান রয়েছে। এসব দোকানের মধ্যে বিশেষ করে পৌর শহরের ১৫/২০টি দোকান ছাড়া গ্রামাঞ্চলের অধিকাংশ ওষুধের দোকানের কোন ড্রাগ লাইসেন্স নেই। পাশা-পাশি যাদের ড্রাগ লাইসেন্স আছে তাদের মধ্যে অনেকে আবার নিয়মিত নবায়ন করান না। লাইসেন্স নবায়ন ছাড়াই তারা মাসের পর মাস অবৈধভাবে ওষুধের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। অপর দিকে গ্রামাঞ্চলে ব্যাপকভাবে হাতুড়ে ডাক্তার বা পল্লী চিকিৎসকের উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব ডাক্তারদের প্রাতিষ্ঠানিক কোন শিক্ষা নেই। তারা কিছু দিন এমবিবিএস পাস করা ডাক্তাদের সহযোগি হিসেবে কাজ করার পর নিজেই ডাক্তার হিসেবে চেম্বার খুলে পাস করা ডাক্তারের ন্যায় নিয়মিত রোগী দেখার পাশা-পাশি ওষুধের ব্যবসা করছেন। এদের মধ্যে অনেকে আবার রোগী দেখে ব্যবস্থাপত্র দেওয়ার পাশি-পাশি ছোট-খাট অপারেশন পর্যন্ত করছেন। তবে তাদের অপারেশনে রোগ ভাল না হওয়ায়  দ্বিতীয় দফা পাস করা ডাক্তারের দ্বারা অপারেশন করে রোগ ব্যাধি ভাল করতে হয় বলে উপজেলার মানিকহাট গ্রামের ভুক্তভোগী আব্দুল বাতেন জানান। ভুক্তভোগীরা আরো জানান, ওই সকল ডাক্তারদের সাথে শহরের পাস করা ডাক্তারদের একটা সৌহার্দ্য পূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। তারা পাস করা ডাক্তারদের কাছে বিভিন্ন রোগ ব্যাধিতে আক্রান্ত রোগী পাঠানোর ব্যাপারে এজেন্ট হিসাবে কাজ করেন। আর এর বিনিময়ে তারা ওই সকল ডাক্তারদের কাছ থেকে পান মোটা অংকের কমিশন। অবশ্য এ প্রক্রিয়ায় অনেক সময় হাতুড়ে ওই সকল ডাক্তারদের দ্বারা গ্রামাঞ্চলের সহজ সরল রোগীরা প্রতারিত হন বলেও অভিযোগ রয়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডাক্তার মোঃ ওয়াসীম খান বলেন শিগগিরই ড্রাগ লাইসেন্সবিহীন ওষুধ ব্যবসায়ী ও হাতুড়ে ডাক্তারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে