পাবনার সুজানগরে পোলট্রি শিল্প দিনের পর দিন মুখ থুবড়ে পড়েছে। ফলে এ শিল্পের প্রতি আগ্রহ হারাচ্ছেন উপজেলার পোলট্রি খামারীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ৮/১০ বছর আগে সুজানগর পৌরসভাসহ উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে ৬০/৭০টি পোলট্রি মুরগীর ফার্ম বা খামার ছিল। এলাকার শিক্ষিত বেকার যুবকদের পাশপাশি কিছু কর্মঠ তথা উদ্যোমী যুবক ওই খামার গড়ে তোলেন। কিন্তু প্রতি বছর ২/১টি করে কমতে কমতে বর্তমানে ওই খামারের সংখ্যা দাঁড়িছে ৪৫টিতে। ভুক্তভোগী খামারী আব্দুল হালিম জানায়, শুরুর দিকে মুরগীর খাবারসহ অন্যান্য উপকরণের দাম বেশ কম ছিল। পাশা-পাশি ওই সময় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ পোলট্রি খামারীদের ঋণ সুবিধা দেওয়াসহ নানাভাবে পৃষ্ঠপোষকতা করতেন। তাছাড়া ওই সময় বাজারে মুরগীর বাচ্চা, ডিম এবং বড় মুরগীর দামও বেশ ভাল ছিল। ফলে তখন খামারীরা বেশ আগ্রহের সাথে পোলট্রি খামার গড়ে তুলেছেন। কিন্তু বর্তমানে মুরগীর খাবার প্রতিষ্ঠানের সাথে সংশ্লিষ্ট উপকরণের দাম বৃদ্ধি পেলেও বাজারে সেই হিসাবে মুরগীর বাচ্চা, ডিম এবং বড় মুরগীর দাম বৃদ্ধি পায়নি। তাছাড় সরকারি ঋণ সুবিধাও বন্ধ রয়েছে। এতে দিনের পর দিন এ জনপদের মানুষ পোলট্রি শিল্পের প্রতি উদাসীন হয়ে পড়ছে। উপজেলার ঘোড়াদহ গ্রামের পোলট্রি খামারী মামুন শেখ জানান, আগে প্রতি বস্তা পোলট্রি ফিডস’র দাম ছিল ১৫ থেকে ১৬‘শ টাকা। কিন্তু বর্তমানে সেই একই ফিডস কিনতে হচ্ছে প্রতি বস্তা ৩০হাজার থেকে ৩৫‘শ টাকায়। তাছাড়া ওই সময় ৫/৬‘শ ব্রয়লার মুরগীর বাচ্চা বিক্রির উপযোগী করতে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা খরচ হলেও বর্তমানে খরচ হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকা। ফলে এ অবস্থায় দিনের পর দিন উপজেলার পোলট্রি শিল্প মুখ থুবড়ে পড়েছে।