মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় এবার কোরবানির ঈদে হাট কাঁপাতে গজারিয়ার বাজারে আসছে ‘গজারিয়া বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের আড়ালিয়া গ্রামের কুরবানির পশু রাজাবাবু। সাদা-কালো রঙের সুঠাম স্বাস্থ্যের এ ষাঁড়ের দৈর্ঘ্য ১২ ফুট উচ্চতা ৮ ফুট ওজন ১৫ মণ অর্থাৎ ৬০০ কেজি। ষাঁড়ের মালিকের প্রত্যাশা ‘গজারিয়ার রাজাবাবু’ কে দাম হাকাঁবেন ৭ লাখ টাকায়।
গজারিয়া উপজেলার বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের আড়ালিয়া গ্রামের ৮ নং ওয়ার্ডের খামারী ইউনুস আলী নিজের দেশীয় পদ্ধতিতে প্রাকৃতিক খাবারে নিজের বাড়িতে রাজাবাবু গরু লালন-পালন করা হচ্ছে। প্রায় তিন বছর আগে তার নিজের গাভী গরু থেকে জন্ম নেয় ‘গজারিয়ার রাজাবাবু।’ খামারি ইউনুস আলী হলেস্টান ফ্রিজিয়ান জাতের এই ষাঁড়ের নামও রেখেছেন ‘গজারিয়ার রাজাবাবু।’
‘রাজাবাবুর’ মালিক ইউনুস আলী আরও জানান, মাঝে মাঝে তাকে কাঁচা কলা গাজর আপেল সহ বিভিন্ন মৌসুমী ফলও খাওয়ানো হয়। প্রতিদিন ২/৩ বার গোসল করাতে হয়। ৩ বছরে যার ওজন ১৫ মণ (৬০০ কেজি) এসে দাঁড়িয়েছে।
বিক্রির কারণ জানতে চাইলে ইউনুস আলী জানান, রাজাবাবুর খাবার রাজার মতোই দিতে হয়। প্রতিদিন যা খরচ হয় তা আমার সাধ্যে আর কুলাচ্ছে না। তাই এবার কোরবানিতেই ‘রাজাবাবুকে’ বিক্রি করব।
ইউনুস আলী দাবি, গজারিয়া উপজেলায় তার গরুটিই সবচেয়ে বড়। তার স্বভাব শান্ত প্রকৃতির হলেও মাঝে মাঝে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। এ পর্যন্ত ‘রাজাবাবুকে’ লালন-পালন করতে প্রায় ৩ লাখ টাকা খরচ হয়েছে।