নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে সুলতানপুর হানিফ ভূঁইয়া স্কুল এন্ড কলেজের অর্থ আত্মসাত এর অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্কুল এন্ড কলেজ গবর্নিং বডির সভাপতি মাহফুজুল হক আবেদ কলেজের অধ্যক্ষ মোফাজ্জল হোসেন এর কাছে হিসাব চাইলে তিনি জানান টাকা ব্যাংকে জমা আছে। কিছু টাকা এখনো জমা হয়নি। পূর্ণ হিসেব না পেয়ে সভাপতি সুলতানপুর রমণীরহাট বাজার মার্কেন্টাইল ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং এ গিয়ে হিসাব নাম্বার দেখেন। তথ্য অনুযায়ী দেখা যায় ৯ লাখ টাকার বেশি একাউন্টে থাকার কথা। একাউন্টে টাকা না দেখে ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে টাকা জমা না হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে পরিচালক আব্দুল খালেক বলেন, কলেজ কর্তৃপক্ষের প্রতিদিন টাকা লাগে তাই তাদের পরামর্শে একাউন্টে জমা করতে দেরি হয়। সভাপতি টাকা জমার বিষয়ে বললে পরিচালক খালেক জানিয়ে দেন আমি সব টাকা জমা দিতে পারবো না। কারণ অনেক টাকা প্রিন্সিপাল নিয়ে গেছে।
সভাপতি বিষয়টি গড়মিল বুঝতে পেরে এজেন্ট ব্যাংকিং সুলতানপুর শাখার পরিচালক আবদুল খালেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাপক মার্কেন্টাইল ব্যাংক বাংলাবাজার শাখা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
সভাপতি অভিযোগে বলেন, মার্কেন্টাইল ব্যাংক সুলতানপুর শাখা পরিচালক আব্দুল খালেক সুলতান স্কুল এন্ড কলেজের হিসাব নাম্বার- ৫০৩০০০০০৪৭৬০৭ টাকা জমা না করে ব্যাংকের সীল দিয়ে জমা রিসিট দিয়ে থাকে। তিনি অভিযোগে আরো উল্লেখ করেন মোট নয় লক্ষ টাকার উপরে গড়মিল করে ব্যাংকের পরিচালক আত্মসাৎ করেন। এ বিষয়ে মার্কেন্টাইল ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং সুলতানপুর শাখার পরিচালক আবদুল খালেক এর সাথে জানতে চাইলে তিনি আমাদের ক্যামেরায় বলেন ব্যাংকের টাকা আত্মসাৎ করার কোনো সুযোগ নেই। প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ যা জমা দিয়েছে আমরা তা হিসাব নম্বরে জমা করেছি। স্কুল কর্তৃপক্ষ নয় লক্ষ টাকা জমা দিয়েছে কী না তা তদন্ত করে দেখা দরকার। তিনি এই অভিযোগের বিষয়ে তার কোন সংশ্লিষ্টতা নেই বলে জানান।
এই বিষয়ে সুলতানপুর হানিফ ভূঁইয়া স্কুল এন্ড কলেজ এর সভাপতি মাহফুজুল হক আবেদ'র সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমি দেখতে পেয়েছি টাকা জমা দিয়েছে, কিন্তু হিসাব নম্বরে টাকা জমা হয়নি। তাই দায়-দায়িত্ব ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে নিতে হবে বলে ব্যবস্থাপক মার্কেন্টাইল ব্যাংক বাংলাবাজার শাখা বরাবরে অভিযোগ করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে সঠিক তথ্য বের হয়ে আসবে বলে মনে করি।