বাংলাদেশ জুয়েলার্স এসোসিয়েশন বাজুসের সহ-সভাপতি মিথ্যা মামলায় গ্রেফতারের প্রতিবাদে ও নিঃশর্তে মুক্তির দাবিতে যশোরের অভয়নগর উপজেলার সকল জুয়েলারী প্রতিষ্ঠান নির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করা হয়েছে।
জানা গেছে, বুধবার(২৮মে) রাতে বাংলাদেশ জুয়েলার্স এসোসিয়েশনের কেন্দ্রিয় কমিটির সহ-সভাপতি মো. রিপনুল হাসান’কে ঢাকায় নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলায় গ্রেফতার করে পুলিশ প্রসাশন। প্রসাশনের মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা গ্রেফতারের প্রতিবাদে ও মুক্তির দাবিতে রাতেই সারা বাংলাদেশে অনির্দিষ্টকালের জুয়েলারী ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধের কর্মসূচি দেন বাজুস কেন্দ্রিয় কমিটি। কেন্দ্রিয় কর্মসূচির পালনে বুধবার রাতেই বাজুস অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া সোনাপট্টিতে সভাপতি সুশিল কুমার দাশ ঝন্টরু সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তব্য রাখেন, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম মোল্লা, যুগ্ম সম্পাদক গৌতম বিশ্বাস, সাংগঠনিক সম্পাদক মল্লিক খলিলুর রহমান, নির্বাহী সদস্য নিজাম উদ্দিন সরদার প্রমুখ। কেন্দ্রীয় কমিটির কর্মসূচির সাথে সহমত জানিয়ে বক্তারা বলেন, মো. রিপনুল হাসান’কে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা থেকে নি:শর্তে দ্রুত সময়ের মধ্যে মুক্তি দিতে হবে। এ জন্য কেন্দ্রিয় কমিটি থেকে যদি আরও কঠোর কোন কর্মসূচি ঘোষনা করে ঐক্যবদ্ধ ভাবে পালন করা হবে। সারাদেশের ন্যায় বৃহস্প্রতিবার (২৯ মে) সকাল থেকে উপজেলার সকল জুয়েলারী প্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে। এই কর্মসূচির সাথে সহমত জানিয়ে নওয়াপাড়া জুয়েলারি কারিগর সমিতি তাদের কারখানা বন্ধ রেখেছেন।
বাজুস অভয়নগর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম মোল্যা বলেন, ‘কেন্দ্রিয় কমিটির সহ-সভাপতি রিপনুল হাসানকে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার নিঃশর্ত মুক্তির দাবীতে অভয়নগরের সকল জুয়েলারি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। যতদিন তার মুক্তি না হবে ততদিন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।’
বাজুস অভয়নগর উপজেলা শাখার সভাপতি সুশীল কুমার দাস ওরফে ঝন্টু বলেন, ‘আমাদের কর্মসূচির সঙ্গে সহমত জানিয়ে স্বর্ণের কারিগররা তাদের দোকান বন্ধ রেখেছেন। তাই রিপনুল হাসানের মামলা প্রত্যাহার করাসহ দ্রুত সময়ের মধ্যে তাকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। অন্যথায় কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষিত যেকোনো কর্মসূচি বাস্তবায়নে বাজুস অভয়নগর উপজেলা শাখার ব্যবসায়ীরা তা ঐক্যবদ্ধভাবে পালন করবে।’