সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা আধুনিকায়ন করতে সম্ভাব্য যাচাই কাজ শুরু

এফএনএস (ওবায়দুল ইসলাম; সৈয়দপুর, নীলফামারী) : | প্রকাশ: ১ জুন, ২০২৫, ০৩:০১ পিএম
সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা আধুনিকায়ন করতে সম্ভাব্য যাচাই কাজ শুরু

সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার পরিসর বৃদ্ধি, আধুনিক যন্ত্রপাতি স্থাপন ও জনবল বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। এ লক্ষ্যে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। বিদ্যমান কারখানাতে পরিসর বাড়ানো ও আধুনিক মেশিন স্থাপনে গুরুত্ব দিচ্ছেন রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। রেলওয়ে সূত্র জানায়, ১৮৭০ সালে তৎকালীন আসাম-বেঙ্গল রেলওয়ের আওতায় ১১০ একর জমির ওপর সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা গড়ে তোলা হয়। কারখানাকে ঘিরে পরবর্তী সময়ে ৮০০ একর এলাকায় গড়ে ওঠে সৈয়দপুর রেলওয়ে শহর। পাকিস্তান আমলে এ কারখানায় নতুন কোচ নির্মাণ হতো। তখন লোকবল ছিল ১০ হাজারের বেশি। তবে ১৯৮৩ সালে রেল সংকোচন নীতির আওতায় ক্যারেজ কনস্ট্রাকশন শপ (সিসি শপ) বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে ২৮টি উপকারখানায় কোচ ও মালবাহী ওয়াগনের মেরামতসহ প্রায় ১ হাজার ২০০ ধরনের যন্ত্রাংশ তৈরি হচ্ছে। 

২০১৭ সালে কারখানার আংশিক আধুনিকায়নে ১৫৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪৩ ধরনের মেকানিক্যাল ও ১৩ ধরনের ইলেকট্রিক্যাল যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হয়। কিন্তু দক্ষ জনবলের অভাবে বেশির ভাগ যন্ত্রপাতিই অচল হয়ে পড়ে। বর্তমানে ২ হাজার ৮৫৯ পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন মাত্র ৭১৬ জন। ফলে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে বলে জানান কর্মকর্তারা।

ক্যারেজ শপের ইনচার্জ মমিনুল ইসলাম বলেন, মিটার ও ব্রড গেজ উভয় লাইনের কোচ-ওয়াগন মেরামত করা হয় এখানে। কিন্তু লোকবল সংকট ও যন্ত্রপাতির অভাবে উৎপাদন বাড়ানো যাচ্ছে না। আধুনিকায়ন হলে দ্বিগুণ উৎপাদন সম্ভব হবে।

বাংলাদেশ রেলওয়ের যুগ্ম মহাপরিচালক রফিকুল ইসলাম বলেন, সৈয়দপুর কারখানা এবং পার্বতীপুরের কেন্দ্রীয় লোকোমোটিভ কারখানা (কেলোকা) আধুনিকায়নের উদ্যোগ হিসেবে সম্ভাব্যতা যাচাই চলছে। জনবল নিয়োগ নিয়েও সরকার ভাবছে।

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের যান্ত্রিক প্রকৌশলী সাদেকুর রহমান বলেন, রেলওয়ে কারখানা সচল থাকলে রেলসেবা সচল থাকে। সৈয়দপুর কারখানা আধুনিকায়নে সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে।

সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক শাহ সুফী নূর মোহাম্মদ বলেন, সৈয়দপুর রেলকারখানাটি আধুনিকায় এখন সময়ের ব্যাপার। উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সম্ভাব্যতা যাচাই করছেন। এ নিয়ে কয়েক দফা বৈঠকও হয়েছে। বর্তমানে কারখানায় ঈদযাত্রার কোচ মেরামত কাজ শেষ হয়েছে। এসব আন্তনগর ট্রেনসহ বিশেষ ট্রেনে সংযোজন করা হয়েছে।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে