পাবনার চাটমোহরে ৫ মাসের এক শিশুকন্যাকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে আপন মায়ের বিরুদ্ধে। নিহত সোহাগী মন্ডল (৫ মাস) উপজেলার গুনাইগাছা ইউনিয়নের জালেশ্বর মন্ডলপাড়া গ্রামের কমল মন্ডলের মেয়ে। শনিবার (৩১ মে) সকাল ৮টার দিকে বাড়ির অদূরে বড়াল নদ থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এঘটনায় নিহতের মা শ্রাবন্তী মন্ডল (২২) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ব্যাপারে থানায় মামলা হয়েছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। হন্তারক মা শ্রাবন্তী মন্ডলকে গতকাল রবিবার (১ জুন) সকালে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। রবিবার (১ জুন) চাটমোহর থানার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনজুরুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এরআগে শনিবার (৩১ মে) সকাল ৮টার দিকে উপজেলার গুনাইগাছা ইউনিয়নের জালেশ্বর মন্ডলপাড়া এলাকার বড়াল নদ থেকে শিশু সোহাগীর মরদেহ উদ্ধার করে তার পরিবারের সদস্যরা। খবর পেয়ে চাটমোহর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা মর্গে পাঠায়।
নিহত সোহাগীর পিতা কমল মন্ডল জানান,সকাল ছয়টার দিকে তার স্ত্রী শ্রাবন্তী মন্ডল তাকে বলে,সোহাগীকে বিছানায় ঘুমিয়ে রেখে বাইরে খড় আনতে যান। কিছুক্ষণ পর ফিরে এসে দেখেন মেয়ে তার বিছানায় নেই। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে বাড়ির অদূরে বড়াল নদের কিনারায় শিশুটির মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন।
এদিকে পুলিশ ঘটনার ক্লু উদ্ধারে মাঠে নামে। তারা নানা দিক তদন্ত করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে শিশুর মা শ্রাবন্তী মন্ডলকে। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে শ্রাবন্তী পুলিশের কাছে স্বীকার করেন সে তার শিশুকন্যাকে ঘুমন্ত অবস্থায় শনিবার ভোরে বাড়ির পাশের নদীতে ফেলে দেয়। পরে খোঁজাখুজির বাহনা করে মৃতদেহ উদ্ধার করে।
চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনজুরুল আলম জানান,আটককৃত শ্রাবন্তী প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। আদালতেও স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন। তিনি জানান,ঘটনাটি ঘটার পরই পাবনার পুলিশ সুপার মহোদয়ের নির্দেশনায় সহকারি পুলিশ সুপার (চাটমোহর সার্কেল) আরজুমা আকতারের নেতৃত্বে আমরা কাজ শুরু করি এবং ঘটনার দিনই হত্যার রহস্য উদঘাটন করাসহ ঘাতক মাকে গ্রেপ্তার করা হয়।