চিরিরবন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জাতীয় পর্যায়ে ৩ টিতে প্রথম স্থান অধিকার করায় চিরিরবন্দর স্বাস্থ্য বিভাগের সকল চিকিৎসক, সেবিকা ও সকল কর্মচারী নতুন উদ্যোমে চিকিৎসা সেবা ও কাজ শুরু করেছেন।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, গত ২৫ মে রবিবার ২০২৫ ঢাকা শহীদ আবু সাঈদ ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের আওতায় “ইলেকট্রনিক ডাটা ট্রাকিংসহ জনসংখ্যা ভিত্তিক জরায়ু-মুখ ও স্তন ক্যান্সার স্ক্রীনিং কর্মসূচির" অন্তর্গত "তথ্য ও ফলাফল প্রকাশ এবং পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠান ২৫" এ "সেরা কমিউনিটি রেজিষ্ট্রেশন-২০২৫" ও "সেরা ভায়া ও সিবিই কেন্দ্র ২০২৫ (রংপুর বিভাগ) হিসেবে জাতীয় পর্যায়ে প্রথম স্থান লাভ করে চিরিরবন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। এছাড়াও "সেরা কমিউনিটি ক্লিনিক-২০২৫ (জাতীয় পর্যায়)" এ প্রথম স্থান অর্জন করে উপজেলার আব্দুলপুর ইউনিয়নের হযরতপুর কমিউনিটি ক্লিনিক।
বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডাঃ মোঃ শাহিনুল আলমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব ডাঃ মোঃ সারোয়ার বারী ও বিশেষ অতিথিবৃন্দের কাছ থেকে পুরষ্কার গ্রহণ করেন চিরিরবন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আবদুল্লাহ আল ইফরান, আবাসিক মেডিকেল অফিসার ও মেডিকেল অফিসার (ডিজিজ কন্ট্রোল) ডাঃ সৌভিক রায়, স্বাস্থ্য পরিদর্শক জনাব আজাহার আলী, সিনিয়র স্টাফ নার্স রীনা খাতুন, সিএইচসিপি পান্না আকতার। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ারম্যান ডাঃ সায়েবা আক্তার, নার্সিং ও মিডওয়াইফারী অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ আনোয়ার হোছাইন আকন্দ, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব (চিকিৎসা শিক্ষা) ডাঃ নূরে আলম সিদ্দিকী প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুল্লাহ আল ইফরান বলেন, আমার পুর্বের যারা কর্মকর্তা ছিলেন, এ প্রাপ্তি তাঁদের অবদান। তাঁরা প্রচুর তদারকি ও কাজগুলি করেছিলেন। আমি সে কাজগুলিকে যত্ন সহকারে ধরে রাখব ও আরো উদ্যোমী হয়ে কাজ করব।
সাবেক উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ তানভীর হাসনাত রবীন জানান, সরকারী চাকরি জীবনে নিজের প্রিয় কর্মস্থলের এই সম্মাননা প্রাপ্তিতে চিরিরবন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সকল বর্তমান এবং তৎকালীন কর্মকর্তা ও কর্মচারীর অবদান অনস্বীকার্য।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাতেহা তুজ জোহরা বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ নিরলসভাবে কাজ করছে। তাদের এ প্রাপ্তিতে উপজেলা প্রশাসন খুশী। আগামী দিনেও যাতে পুরস্কারগুলি ধরে রাখা যায়, সে ব্যাপারে সকল প্রকার সহায়তা ও সহযোগিতা করা হবে।