জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের নবনির্বাচিত কেন্দ্রীয় সভাপতি, শায়খুল হাদীস আল্লামা উবায়দুল্লাহ ফারুককে সিলেটে গণসংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ১১টা ৩০ মিনিটে তিনি বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান। সেখানে জমিয়তের মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা শাখার নেতাকর্মীরা তাঁকে ফুলেল অভ্যর্থনা জানান।
পরে এক বিশাল মোটর শোভাযাত্রা সহকারে তাকে নিয়ে আসা হয় কোর্ট পয়েন্টে। সেখানে সংবর্ধনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আল্লামা ফারুক বলেন, "জমিয়ত উপমহাদেশের ১০৬ বছরের রাজনৈতিক ঐতিহ্যবাহী দল। বর্তমান রাজনৈতিক সংকট থেকে উত্তরণে হক্কানী ওলামায়ে কেরাম এবং দ্বীনদার নেতৃত্বের বিকল্প নেই।"
তিনি বলেন, “সংস্কারের নামে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া জাতির জন্য হুমকিস্বরূপ। তাই আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন দিয়ে জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। আজ দেশের অরাজকতা ও সংকটের মূল কারণ একটি নির্বাচিত সরকারের অনুপস্থিতি।”
তিনি আরও বলেন, “উপমহাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে জমিয়তের পূর্বসূরিরাই সাহসিকতার সঙ্গে লড়েছেন। সেই ঐতিহাসিক ধারাবাহিকতায় আজও দেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে দ্বীনদার নেতৃত্ব অপরিহার্য।”
সিলেট মহানগর জমিয়তের আয়োজনে কোর্ট পয়েন্টে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা সভায় সভাপতিত্ব করেন মহানগর সভাপতি মাওলানা মোখলেসুর রহমান রাজাগঞ্জী এবং পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আব্দুল মালিক চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয়, মহানগর ও জেলা পর্যায়ের অর্ধশতাধিক আলেম ও নেতৃবৃন্দ, যাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন মাওলানা আতাউর রহমান কোম্পানীগঞ্জী, মাওলানা খলিলুর রহমান, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী, মাওলানা খয়রুল হোসেন, মাওলানা নিজাম উদ্দিন, মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, হাফিজ জামিল আহমদ, কাউসার আহমদ, আবু হানিফা সাদ প্রমুখ।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে নেতারা জমিয়তের ঐতিহ্য রক্ষা ও রাজনৈতিক অঙ্গনে দ্বীনদার নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।