সৈয়দপুরে রেললাইন ধারে কুড়িয়ে পাওয়া লিচুর হাট

এফএনএস (ওবায়দুল ইসলাম; সৈয়দপুর, নীলফামারী) : | প্রকাশ: ১২ জুন, ২০২৫, ০৪:১১ পিএম
সৈয়দপুরে রেললাইন ধারে কুড়িয়ে পাওয়া লিচুর হাট

দেশের মধ্যে বিভিন্ন প্রকার লিচু হয়ে থাকে  দিনাজপুর জেলায়। লিচু মৌসুমে দিনাজপুর জেলার দিনাজপুর সদর,কাহারোল,চিরিরবন্দর, পার্বতীপুর, হাসিমপুর,বিন্যাকুড়িসহ বেশ কিছু স্থানে লিচুর বাগান চোখে পড়ে। আর ওই সকল স্থান থেকে বাগান মালিক ও পাইকাররা লিচু নিয়ে আসে সৈয়দপুর বাজারে। সৈয়দপুরে তেমন একটা লিচু বাগান না থাকায় এখানে লিচুর চাহিদা অনেকটা বেশী। পাশাপাশি দামেও বিক্রেতারা লাভবান হয়।

তবে বর্তমানে বাজারে বেদানা ও বোম্বাই লিচু পাওয়া যাচ্ছে। চায়না থ্রী লিচুটি অত্যন্ত সুস্বাদু তবে এটি এখনো বাজারে আসেনি। লিচু বিক্রেতা বাবলু জানান,চায়না থ্রী লিচু বাজারে আসতে আরো সপ্তাহ খানেক সময় লাগবে।

বাজারে বেদানা ও বোম্বে লিচু বিক্রি করা হচ্ছে সাড়ে তিনশ টাকা থেকে চারশো টাকা শ দরে। আর চায়না থ্রী একশো লিচু বিক্রি হবে দেড় হাজার থেকে দুই হাজার টাকা পর্যন্ত।

সাধারণত বাগানের পাশে লিচু বিক্রি করে থাকে ছোট ছোট শিশু। এরা বাগান থেকে পড়ে যাওয়া লিচু সংগ্রহ করে তা রাস্তার পাশে বসে বসে বিক্রি করে কম দামে।

১১ জুন বিকেলে সৈয়দপুর দুই নম্বর রেল ঘুমটির পাশে সরাসরি রেললাইনে বসে কুড়িয়ে পাওয়া লিচু বিক্রি করতে দেখা। এরা পলিথিনে করে লিচু নিয়ে লাইনে বসে কম দামে তা বিক্রি করছে। এদের মধ্যে আলমগীর, জাহাঙ্গীর,আবুল হোসেন,সালাম জানান,আমরা আড়ৎ থেকে পড়ে থাকা লিচু সংগ্রহ করে রেল লাইনে বসে বিক্রি করে থাকি। তারা বলেন,বাজারে একশো লিচু কিনলে আপনাদের দেয়া হয় ৮০টি লিচু। দাম কিন্তু ৪শ টাকা নিয়ে থাকে। তারা দামও বেশী নিল আবার গগনায় ২০টি লিচু কম দিল। আর আমরা দামেও কম নিয়ে থাকি এবং গগনায়ও পুরো একশো দিয়ে থাকি। আমরা একশো লিচু গুনে বিক্রি করছি দেড়শো টাকা থেকে দুইশো টাকা।

 বিক্রেতা বাদশা মিয়া ও আলম হোসেন বলেন,পানি না হওয়ায় এবার লিচুর আকার অনেকটা ছোট হয়েছে। পাশাপাশি লিচুতে মিষ্টিও কম। তবুও লোভনীয় ফল লিচু খেতে কার না মন চায়। আকারে ছোট হোক আর মিষ্টি কম হোক তাতে যায় আসে না। শিশু থেকে শুরু করে বয়স্করাও এখন লোভনীয় ফল লিচু খেতে ভুলে না।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে