নীলফামারীর সৈয়দপুরে গত কয়েক সপ্তাহ থেকে চলছে প্রচন্ড তাপদাহ। প্রখর রোদে প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না। সৈয়দপুর বিমানবন্দর আবহাওয়া দপ্তর জানায়,সকালে ও দুপুরে তাপমাত্রা থাকছে ৪২ ডিগ্রির ওপরে। সৈয়দপুর ১০০ শয্যা সরকারি হাসপাতালের আর এম ও ডা.মো.নাজমুল হুদা জানান,অতিরিক্ত গরমে নানানরোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। প্রতিদিন হাসপাতালে রোগির ভিড় বাড়ছে। অনেকে চিকিৎসা সেবা নিয়ে বাসায় ফিরছেন আবার কেউ কেউ হাসপাতালে ভর্তি আছেন। শহরের পাকা সড়কগুলো উত্তপ্ত হয়ে ওঠেছে। কোথাও কোথাও সড়কের পিচ গলে গেছে।
সৈয়দপুর আদর্শ স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. হাবিবুর রহমান জানান,গরমে মানুষ একটু স্বস্তি পেতে বিভিন্ন প্রকার শরবত,আখের রস,ঠান্ডা পানির দিকে ঝুঁকছেন। আর এ সুযোগে এক শ্রেণির অসাধু শরবত বিক্রেতা তাদের তৈরি শরবতের গ্লাস প্রতি দাম বাড়িয়েছেন। তারা শরবত তৈরি করছেন বিভিন্ন ক্ষতিকর রঙ মিশিয়ে। মানুষ না বুঝে ওই রঙ মেশানো শরবত খেয়ে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ছেন।
ব্যবসায়ি ইমতেয়াজ আজম জানান, সৈয়দপুর শহরের পাঁচমাথা মোড় ও পোস্ট অফিস মোড়ে বিক্রি হচ্ছে শরবত। এগুলো বিক্রি হচ্ছে প্রতি গ্লাস ১৫ টাকা থেকে ২০ টাকা। তৈরিকৃত শরবতে দেয়া হচ্ছে রঙ, বরফ, স্যাকারিন। মানুষকে আকৃষ্ট করতে শরবতে নানান রঙ দিয়ে তা রঙিন করা হয়। আর না বুঝে মানুষ এ শরবত খাচ্ছে।
প্রশাসনের নজরে এগুলো এলেও নেই কোন অভিযান। পরিবেশ ও ভোক্তা দপ্তর কেন যেন অসহায়। একদিকে চলছে প্রচন্ড তাপদাহ অপরপাশে ঘনঘন বিদ্যুতের লোডশেডিং। এতে করে বিষিয়ে তুলেছে জনজীবন।
অটোচালক আলম জানায়, প্রচন্ড রোদে মানুষ বের হচ্ছে না। ফলে ভাড়া কমে গেছে।
তাছাড়া রোদে অটো পামচার হচ্ছে বেশি। রিকশা চালক ভুট্টু জানায়,গত এক সপ্তাহে তার রিকশার চাকা পামচার হয়েছে তিন বার। অতিরিক্ত গরমে চাকা টিকছে না।
নীলফামারী জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি শাহ নওয়াজ হোসেন শানু বলেন, গরম ও রোদের কারণে বাস যাত্রী কমে গেছে। ফলে আয় কমেছে।
জেলা বাস মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী জানান,তীব্র তাপদাহের কারণে বাসে দেখা দিয়েছে যাত্রী সংকট। যার কারণে শ্রমিকরা অর্থনৈতিক সংকটে দিন পার করছে।
অপরপাশে জেলা বাস মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের অভ্যন্তরীণ সড়ক সম্পাদক স্বপন হোসেন বলেন,প্রচন্ড গরম ও রোদে শ্রমিকরা নাজেহাল। যাত্রী কমে যাওয়ায় আয় কমেছে। তাই পরিবার নিয়ে শ্রমিকরা দিশেহারা।