ভালুকায় শিক্ষার্থীর হাতে খেলনা পিস্তল ধরিয়ে পুশিলে সোপর্দ

এফএনএস (মোঃ আলমগীর হোসেন; ভালুকা, ময়মনসিংহ) : | প্রকাশ: ১৫ জুন, ২০২৫, ০৪:৩৯ পিএম
ভালুকায় শিক্ষার্থীর হাতে খেলনা পিস্তল ধরিয়ে পুশিলে সোপর্দ

ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ী ইউনিয়নের জামিরদিয়া এলাকায় দুই শিক্ষার্থীর হাতে খেলনা পিস্তল ধরিয়ে দিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে পুলিশে সোর্পদ করেছে মেহেদী হাসান নামে এক ব্যবসায়ী। অভিযোগের ভিত্তিতে দুই শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করে দ্রুত বিচার আইনে মামলা দিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে ভালুকা মডেলা থানা পুলিশ। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। গত শুক্রবার দুপুরে এলাকাবাসী নাটকীয় মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে বিক্ষোভ করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে ১৩ জুন বৃহস্প্রতিবার উপজেলার জামিরদিয়ার মাস্টারবাড়ী এলাকায়।

স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানাযায়,কোরবানী ঈদের আগের দিন ভালুকা উপজেলার জামিরদিয়া বাদশা টেক্সটাইল মিলের দুই নাম্বার গেইটের সামনে শিক্ষার্থী সিফাতের বাবা রিকশাচালক সাইফুল ইসলাম মামলার বাদীর ভাই আল আমিনের স্ত্রীকে একটি গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ায় কথা বলে। তাতে রিকসা চালক সাইফুল না গেলে আলামী তার ভাই শামীম ও মেহেদী হাসানকে দিয়ে রিকশাচালক সাইফুলকে প্রকাশ্যে লাঞ্ছিত করেন। রিকসা চালক সাই্ফুলের ছেলে ৮ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী সিফাত জানতে পারে। পরে সে তার সহপাঠি সাদেকুলকে নিয়ে মামলার বাদী মেহেদী হাসানের দোকানে গিয়ে আল-আমীনের নিকট জানতে চান কেন তাঁর বাবাকে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। সেখানে তাদের মাঝে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সিফাত দোকানের শোকেজের গ্লাসে লাথি মারে। এসময় দোকান মালিক আল-আমীন তার ভাই মেহদী ও দোকানের কর্মচারীরা দুই শিক্ষার্থীতে ঝাপটে ধরে। পরে দোকান থেকে খেলা পিস্তল হাতে ধরিয়ে দিয়ে দোকানের ভিতর আটকিয়ে রেখে ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার শুরু করে এবং পুলিশে খবর দেয়। এতে আশ পাশের লোকজন ছুটে আসে। এসময় ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে দুই শিক্ষার্থীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরে দোকান মালিক আল-আমীনের ভাই মেহেদী হাসান বাদী হয়ে সিফাত ও সাদিকুলের বিরুদ্ধে পিস্তল দেখিয়ে চাঁদা দাবি ও দোকান ভাঙচুরের অভিযোগ তুলে ভালুকা মডেল থানায় দ্রুত বিচার আইনে মামলা দায়ের করেন। ওই সাজানো ও নাটকীয় মিথ্যা মামলায় শিক্ষার্থীদের জেল হাজতে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় এলাকায় চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হলে পরদিন শুক্রবার এলাকাবাসী মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।

শিক্ষার্থী সিফাতের বাবা সাইফুল ইসলাম জানান,আলামী আমার পুর্ব পরিচিত। তার স্ত্রীকে রিকশায় করে তার গন্ত্যেবে নিয়ে যেতে পারিনি। তার জন্য সে আমাকে প্রকাশ্যে মারধর করেছে। ছেলে প্রতিবাদ করতে তার দোকানে গেলে সে খেলনা পিস্তল দিয়ে চাঁদা দাবির অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে। 

এলাকাবাসী হারুন-অর-রশিদ জানান, সিফাত ও সাদিকুল ভদ্র ও শান্ত ছেলে হিসেবে এলাকায় পরিচিত। তারা কখনোই এমন কাজ করতে পারে না। এলাকাবাসীর দাবী ঘটনাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও সাজানো। 

মামলার বাদী মেহদী হাসান জানান,ওই দুই শিক্ষার্থী আমার দোকানে এসে দোকানের শোকেজের উপর পিস্তল রেখে চাঁদাদাবী করে। পরে তাদেরকে আটক করে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ আটক করে। 

ভালুকা মডেল থানার ওসি হুমায়ুন কবির জানান, বাদীর অভিযোগের ভিত্তিতে আটক করা হয়েছে। পরে বাদী লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে দ্রুত বিচার আইনে মামলা রজু করা হয়। ওই মামলায় দুই কিশোরকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। । বিজ্ঞ আদালত  তাদেরকে শিশু-কিশোর সংশোধনাগারে পাঠিয়েছেন।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে