চাঁদপুর মতলব-বাবুরহাট পেন্নাই সড়কে দূর্ঘটনা রোধে জৈনপুর এক্সপ্রেস, জৈনপুর পরিবহন, মতলব এক্সপ্রেস (বাবুরহাট-মতলব-ঢাকা) যাত্রীবাহী বাসে রবিবার (১৫ জুন) অভিযান চালিয়েছেন স্থানীয় ছাত্র জনতা। ফিটনেস বিহীন বাস, অদক্ষ চালক, হেলপার দিয়ে বাস চালানোর কারনে গত এক সপ্তাহে বাস চাপায় সিএনজি চালক,যাত্রী ও মোটরসাইকেল আরোহীসহ ৩ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে এবং ৪ জন গুরুতর আহত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীনে রয়েছে। মতলবের সড়কটিতে দিন দিন মৃত্যুর মিছিল বেড়েই চলছে।
এসব দূর্ঘটনা থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য ভুক্তভোগী এলাকাবাসী এবং ছাত্র জনতা সম্মিলিতভাবে মতলব পানির ট্যাংকি মোড়ে মতলবের বাসগুলোতে অভিযান চালায়।
অভিযানে অংশগ্রহণকারী ছাত্র মোঃ জিলানী ও হেলাল বলেন, হেলপার ও অদক্ষ চালক দিয়ে বেপরোয়া হয়ে চলাচলের কারণে মতলব বাবুরহাট পেন্নাই সড়কে দুর্ঘটনা এবং প্রাণহানির সংখ্যাও বাড়ছে। তাই জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে আমরা ছাত্র - জনতা এবং ভুক্তভোগী এলাকাবাসী বাবুরহাট-মতলব ও ঢাকাগামী যাত্রীবাহী বাসে অভিযান চালাই। বাসগুলোর ফিটনেস ও লাইসেন্স আছে কি- না এবং হেলপার ও অদক্ষ ড্রাইভার দিয়ে গাড়ী চালানো হচ্ছে কি-না তা খতিয়ে দেখছি। এছাড়া যাত্রীদের কাছ থেকে যেন বাস ভাড়া যেন অতিরিক্ত নেয়া না হয় সে ব্যপারেও সতর্ক করে দেয়া হয়। একটি জৈনপুর এক্সপ্রেস বাসে হেলপার দিয়ে চালানোর কারনে বাসটি আটকে দেয়া হয় এবং যাত্রীদেরকে আরেকটি বাসে উঠিয়ে দেয়া হয়। তাদের এ উদ্যেগকে স্বাগত জানিয়েছেন সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংবাদিক ও সুধীজন।
এছাড়াও বাসযাত্রী ও এলাকাবাসী জানিয়েছেন, এ বাসগুলোর মধ্যে বেশিরভাগ বাসে কোন ফিটনেস ও রোড পারমিট সনদ নেই। অভিযানে দেখা গেছে, অধিকাংশ চালকের লাইসেন্স মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে। মালিকগণ খরচ বাঁচাতে ড্রাইভারের পরিবর্তে হেলপার দিয়ে এসব গাড়ী চালাচ্ছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ছাত্র হেলাল, রনি, শান্ত, জহির, গোফরান মীর্জা, আরিফ মৃধা,উদয়, রোমান,আব্দুল্লাহসহ অনেকে।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) চাঁদপুরের সহকারী পরিচালক ( ইঞ্জিনিয়ারিং) মোঃ কামরুজ্জামান বলেন, আমরা গত সপ্তাহেও শহর এলাকায় যানবাহনের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেছি। উপজেলা এলাকায় সাধারণত প্রশাসন ( ইউএনও ও অ্যাসিল্যান্ড) অভিযান পরিচালনা করে থাকেন। বাস সার্ভিসগুলোর ত্রুটি ও দুর্ঘটনার বিষয়ে অবগত হলাম। এ বিষয়ে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।