যশোরের অভয়নগর উপজেলার সিদ্ধিপাশা নাউলী কুয়েতপ্রবাসী হাসান শেখ (৩০) নামে এক যুবকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার (১৫ জুন) সকালে উপজেলার সিদ্ধিপাশা ইউনিয়নের নাউলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন একটি মাছের ঘেরের পাড় থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।
হাসান শেখ নাউলী গ্রামের হাবিবুর রহমান শেখের ছেলে। তিনি কুয়েতে একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে কর্মরত ছিলেন।
নিহতের বড়ভাই অভয়নগর থানা বিএনপির সদস্য এস এম মুন্না শেখ বলেন, ২০১৮ সালে কুয়েতে চলে যায় হাসান। সেখানে একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে কাজ করত। দীর্ঘ ৭ বছর কুয়েতে থাকার পর গত ফেব্রুয়ারী মাসে বাড়ীতে আসে। দু’মাস পূর্বে সে বিয়েও করেছে। ৬ মাস ছুটির ৪ মাস শেষ হয়েছে। ২ মাস পর কুয়েতে ফিরে যাওয়ার কথা ছিল তার।
তিনি আরও বলেন, ঘটনার দিন শনিবার রাত ১০টা পর্যন্ত বন্ধুদের সঙ্গে বাড়ির পাশে আড্ডা দিয়েছে হাসান। এরপর থেকে নিখোঁজ হয় সে। রোববার সকালে জানতে পারি ভাইকে গলা কেটে খুন করা হয়েছে। তার মরদেহ মাছের ঘেরের পাড়ে পড়ে আছে। ওর তো কোনো শত্রু ছিল না। অথচ তাকে গলা কেটে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যার সঙ্গে যারাই জড়িত তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করাসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।’
অভয়নগর থানা বিএনপির সভাপতি ফারাজী মতিয়ার রহমান বলেন, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। আমার দলের এক নেতার ছোটভাইকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত শাস্তির দাবি জানান তিনি।
অভয়নগর থানার অফিসার্স ইনচার্জ আবদুল আলিম বলেন, শনিবার রাতের কোনো এক সময় এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে বলে মনে হয়েছে। লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যার কারণ ও জড়িতদের সনাক্তে পুলিশের একাধিক টিম কাজ শুরু করেছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।