সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা প্রবেশের প্রধান সড়কের বেহাল অবস্থা

এফএনএস (ওবায়দুল ইসলাম; সৈয়দপুর, নীলফামারী) : | প্রকাশ: ১৫ জুন, ২০২৫, ০৭:১০ পিএম
সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা প্রবেশের প্রধান সড়কের বেহাল অবস্থা

নীলফামারীর সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা প্রবেশের প্রধান সড়কটি দীর্ঘদিন থেকে বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে। সামান্য বৃষ্টিতে কাঁদা পানি একাকার হয়ে হাঁটু পানি জমে রেলওয়ে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সামনের সড়কে। অথচ এ সড়কটিই হল দেশের সর্বৃবহৎ রেলওয়ে কারখানা প্রবেশের প্রধান সড়ক। সড়কটির এ বেহাল অবস্থা বিরাজ করলেও সংস্কারে কোন উদ্যোগ নেই কতৃপক্ষের। সম্প্রতি মুর্তুজা মিলনায়তন থেকে কারখানা পর্যন্ত সড়কটি সংস্কার করা হলেও রেলওয়ে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামন থেকে মুর্তুজা মিলনায়তন পর্যন্ত সড়কের এ অংশটুকু অজ্ঞাত কারণে সংস্কার কাজ আটকে যায়। কেন বেহাল সড়কের এ অংশের সংস্কার কাজ হল না তার কোন জবাব নেই দায়িত্বে থাকা কর্তার কাছে।

 কারখানা চালু অবস্থায় এ সড়ক দিয়েই যাতায়াত করেন রেলওয়ে কারখানার বিভাগীয় তত্তাবধায়ক ( ডিএস) শাহ সুফি নুর মোহাম্মদ। 

এদিকে এ পথেই যেতে হয় দেশের ব্যস্ততম এবং যাত্রীভরা রেলওয়ে স্টেশন সৈয়দপুর। এ স্টেশন থেকে আটটি আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করে। ওই আটটি ট্রেনের হাজার হাজার যাত্রীকে আসতে হয় এ সড়ক দিয়েই। শুধু তাই নয়। সৈয়দপুর রেলওয়ে হাসপাতালেও যেতে হয় এ পথেই।

এছাড়াও এ সড়ক দিয়ে যেতে হয় সৈয়দপুর পাইলট বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজ,সৈয়দপুর রেলওয়ে উচ্চ বিদ্যালয়,সামশুল হক।একাডেমী,খৃষ্টান ধর্মীয় দুইটি উপাসনালয়ে। 

বর্তমানে সড়কের এ অংশটুকু খানাখন্দে ভরে গেছে। আকাশের বৃষ্টি হলে মনে হয় এটি কোন সড়ক নয়। যেন কোন ছোট একটি ডোবা।

ডক্টর চেম্বারের পরিচালক রবি সরকার জানান,সড়কটির সংস্কার অত্যন্ত জরুরী। কারণ দিনের বেলা সুর্যের আলোয় এ পথে আসা যাওয়া করা গেলেও রাতের বেলা যাতায়াতকারীকে পড়তে বিরম্বনায়। ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।

সৈয়দপুর বিজনেস ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউট এর অধ্যক্ষ আসাদুজ্জামান বলেন,সড়কটি দীর্ঘদিন থেকে এ অবস্থায় পড়ে থাকলেও সংস্কারে কেন যেন উদ্যোগ নেই। জরুরী ভিত্তিতে সড়কটির সংস্কার প্রয়োজন।

সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার মিলরাইট সপের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারি মাহবুব আলী ঝন্টু বলেন, যদিও কারখানা থেকে অবসর নিয়েছি তবুও মাঝে মধ্যে আসতে হয় এ পথে। সড়কের বেহাল অবস্থা দেখে অন্যদিক দিয়ে গেট বাজার যাই। আবার আসার সময়ও অন্য পথে ঘুরে আসি। এ পথের অটো চালক গোপাল কৃষ্ণ বলেন,সড়কে বড় বড় খাল,পানি কাঁদা কখন অটো উল্টে যায় তাই ভাড়া পেলেও এ পথে আসি না।

সৈয়দপুর পৌর সভার এক কর্মকর্তা জানান,মুলত এ সড়কটি রেলওয়ের। বিগত মেয়রের সময়  পৌরসভার সাথে রেলওয়ের একটা আলোচনা হয়েছিল। যাতে সড়কটির সংস্কার করা হয়। সে সময় সড়কটির মাঝে মাঝে ইটের গিট্টি দেয়া হয়েছিল। যাতে আপাতত মানুষ চলাচল করতে পারে। কিন্তু পরবর্তীতে কি হল তা আমার জানা নেই।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে